Daily
বি পি এন ডেস্ক: যার নাম পানিপুরি বা গোলগাপ্পা তাকেই বাঙালি ভালোবেসে নাম দিয়েছে ফুচকা। ফুচকার জনপ্রিয়তা আট থেকে আশি, সবাই ভালোবাসিরই মত। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে ফুচকার মধ্যে একটি গর্ত তৈরি করে তার ভেতর আলু, মশলা ইত্যাদি দিয়ে ডান হাতে ফুচকা ডুবিয়ে দেওয়া হয় তেঁতুল গোলা জলে। তারপর ক্রেতার বাটিতে উঠে এলেই ফুচকার স্বাদে মেতে ওঠেন ফুচকাপ্রেমীরা। এই দৃশ্যের সঙ্গেই চিরপরিচিত আমজনতা। কিন্তু রায়গঞ্জের সাব্বির হোসেন ফুচকা বিক্রি করছেন ছক ভেঙে। আর তাতেই রমরমিয়ে বেড়েছে ব্যবসা। দেহশ্রী মোড় সংলগ্ন এলাকায় সাব্বির হোসেনের ‘হাইজেনিক সিস্টেম অফ পানিপুরি’র দোকানে ভিড় জমছে উত্তরোত্তর। যেখানে ফুচকা বিক্রেতাকে জলের মধ্যে হাত ডোবানোর প্রয়োজন নেই। বরং আপনার হাতে শুকনো ফুচকা তুলে দেবেন সাব্বির। পরিবর্তে সামনে রয়েছে ৭টি নল। ইচ্ছেমত নলের নিচে ফুচকা নিয়ে বোতাম টিপলেই বেরিয়ে আসবে সাত রকমের ফ্লেভারের জল। বিক্রেতা ০৯ ফুচকাতেও স্বাদের বৈচিত্র পেতে সকাল থেকেই সাব্বিরের দোকানের সামনে ভিড় জমাচ্ছেন ফুচকাপ্রিয় মানুষ। তাঁরা চেখে দেখছেন ‘হাইজিনিক সিস্টেম অফ পানিপুরি’র ফুচকা। এমনিতে তেঁতুলগোলা জল নিয়ে অনেকের ছুঁৎমার্গ থাকে। ফুচকা রসিকদের মনে জলের শুদ্ধতা নিয়ে উঁকি মারে সন্দেহ। কিন্তু সাব্বিরের ফুচকা সেদিক থেকে একেবারেই হাইজিনিক। স্বাদের যেমন বাহার তেমনই বিক্রিতে অভিনবত্ব। তাই তো সাব্বিরের কাছে প্রতিদিনই নতুন ফ্লেভারের ফুচকা খেতে জড়ো হচ্ছেন রায়গঞ্জবাসী। উত্তর দিনাজপুর থেকে অনুপ জয়সওয়ালের রিপোর্ট, বিজনেস প্রাইম নিউজ