Market
সেনসেক্সের রেকর্ড দৌড় একদিকে যখন বাজার বিশেষজ্ঞদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছিল। তখন লগ্নিকারিদের হাসি চওড়া হতে থাকে যখন ৬০ হাজারের ঘরে পৌঁছয় সূচক। রকেট গতিতে সেনসেক্সের এই উত্থান নিয়ে বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, শেয়ার বাজারে পতনের প্রয়োজন রয়েছেই। না হলে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে বাজারের। আর ঠিক এমন সময় আবারো পতনে খানিক স্বস্তিই পেলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু হতাশ হলেন লগ্নিকারিরা।
বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজারে সূচক এক ধাক্কায় ১১৫৯ পয়েন্ট নেমে আসে। তার দরুন সেনসেক্স পৌঁছয় ৫৯ হাজারের ঘরে। আর তাতেই লগ্নিকারিদের মুখের হাসি উধাও হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, সেনসেক্স ৫৯ হাজারের ঘরে নেমে আসায় বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ সম্পদ খুইয়েছে প্রায় ৪.৮২ লক্ষ কোটি টাকার। ছ’মাসের মধ্যে এই পতন ছিল সর্বাধিক। একদিকে যখন বিএসই-র এই পতন বাজার থিতু হবার ইঙ্গিত দিচ্ছে তখন নিফটির পতনও ছিল বেশ চোখে পড়ার মত। ৩৫৩.৭০ পয়েন্ট নেমে নিফটি পৌঁছে যায় ১৭,৮৫৭.২৫ পয়েন্টে।
তবে শেয়ার বাজারে এই পতনের জন্য অনেকটা দায়ি আমেরিকার অর্থনৈতিক অবনতি। সূত্রের খবর, অতিমারি পরবর্তী সময়ে আমেরিকা যেভাবে আর্থিক প্রোগ্রেসের চিন্তাভাবনা করেছিল, সেই অনুযায়ী আমেরিকার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। যে কারণে বহু বিদেশি লগ্নিকারির শেয়ার বেচার ধুম পড়ে যায়। আর সেই প্রভাব এসে পড়ে ভারতের শেয়ার বাজারে।
ব্যুরো রিপোর্ট