Trending

গুজরাতে টাটারা বিনিয়োগ করতে চলেছে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা। কর্মসংস্থান থেকে রাজ্যের ইকোনমিক গ্রোথ এই সবই আরো দ্রুত গতিতে হবে। কিন্তু কোন খাতে হতে চলেছে টাটাদের এই বিপুল বিনিয়োগ?
সূত্রের খবর, গুজরাতে টাটা গ্রুপ তৈরি করতে চলেছে লিথিয়াম-আয়ন সেল ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট। শুক্রবার সেই মত মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে গুজরাত সরকারের সঙ্গে। এর ফলে ইলেকট্রিক গাড়ি ম্যানুফ্যাকচার করার জন্য যে সাপ্লাই চেনের প্রয়োজন, সেই ঘাটতি মিটে যাবে অচিরেই।
প্রাথমিক পর্যায়ে গুজরাতে যে প্লান্ট টাটারা তৈরি করবে, সেটা হতে চলেছে দেশের প্রথম লিথিয়াম আয়ন সেল ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট। এই প্লান্টের ক্যাপাসিটি হবে ২০ গিগাওয়াট আওয়ার্স। জানা যাচ্ছে, প্লান্টটি তৈরি হয়ে গেলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ১৩ হাজার মানুষের রুজিরুটির বন্দোবস্ত ভালোভাবে হয়ে যাবে। সীলমোহর দিয়েছে টাটা গ্রুপ এবং গুজরাত সরকার।
সত্যি বলতে কী, টাটা গ্রুপের এই বিনিয়োগ ভবিষ্যতে টাটার ইভি গাড়ি তৈরিতে অনেকটা সাহায্য করবে। আর ইভি গাড়ি ম্যানুফ্যাকচারিং করতেও খুব বেশি সময় লাগবে না। কারণ টাটাকে অপেক্ষা করতে হবে না থার্ড পার্টির জন্য। ইভি গাড়ি ম্যানুফ্যাকচারিং করার জন্য থার্ড পার্টি হিসেবে সবার আগে উঠে আসে দুটো নাম- চিন এবং সাউথ কোরিয়া। এদের ওপর নির্ভরতা কমলে টাটা গ্রুপ আরো দ্রুত ইভি গাড়ি তৈরি করতে পারবে। যা গাড়ি বাজারে দুর্দান্ত একটা পজিটিভ ছাপ রাখতে পারে। টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশ্ব জুড়ে জিওপলিটিক্যাল টেনশন এখন তুঙ্গে। ফলে চাহিদা মতন মিলছে না জোগান। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সহজেই সম্ভব হবে বলে মনে করছেন টাটার কর্মকর্তারা।
তবে শুধু ভারত বলে নয়। ইউরোপের বাজারেও নিজের দক্ষতা প্রমাণে কার্যত মুখিয়ে রয়েছে টাটা গ্রুপ। আর টাটা গ্রুপের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ইংল্যান্ড। জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ড এবং স্পেনে একটি ইভি ব্যাটারি প্লান্ট তৈরি করবে টাটা গ্রুপ। তার জন্য ইংল্যান্ড সরকার প্রায় ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড সাবসিডিজ দিচ্ছে।
টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে, এখন সংস্থা টাটা প্যাসেঞ্জার ইলেকট্রিক মোবিলিটি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। তার জন্য টাটাকে সাহায্য করছে আবু ধাবির স্টেট হোল্ডিং কোম্পানি এডিকিউ। ৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। যদিও টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ৫ বছরে সংস্থা ধাপে ধাপে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
গুজরাতে টাটা বিনিয়োগ করলেই সেটা আম বাঙালিদের এক পুরনো স্মৃতি উসকে দেয়। সেটা হল বাম জমানায় সিঙ্গুরে ন্যানোর কারখানা। যা সূর্য দেখার আগেই চির আঁধারে ডুবে যায় রাজনীতির কারণে। সিঙ্গুর থেকে বিদায় জানিয়ে টাটারা গুজরাতেই ঝাঁপ ফেলে। ভেবে দেখুন তো, বাংলাতেও যদি টাটারা এভাবে গাড়ি তৈরির জন্য নিজের কারখানাটি খুলতে পারত, কে বলতে পারে আজকের মতন হয়তো এই বাংলার বুকেই ইভি প্লান্ট তৈরির গ্রিন সিগন্যাল দিত টাটারা। বাংলার কত যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হত। রাজ্যের ইকোনমি গ্রো করত। তাদের আর কাজের জন্য যেতে হত না ভিন রাজ্যে। আপনার কী মনে হয়? মতামত জানান কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে শেয়ার করুন আমাদের প্রতিবেদন। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ