Daily

হাইকোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল। পুলিশি নজরদারি এড়িয়ে শব্দবাজির আঁতুড়ঘর চম্পাহাটিতে নাকি চুটিয়ে চলছে বাজি তৈরির কাজ। এমনটাই অভিযোগ। তবে সন্দেহ দূর করার জন্য, অল্প পরিমাণে। উৎসবের দু’মাস আগে থেকেই গ্রামের পেছনের রাস্তা দিয়ে বাজারে পাচার হচ্ছে চকলেট বোমা।
পূর্বাভাসের আঁচ অনুভব করে, প্রায় দু’মাস আগে থেকে কলকাতা সহ পাশ্ববর্তী এলাকার ব্যবসায়ীরা মজুত করেছেন বাজি, তুবড়ি, চরকি সমস্ত কিছু। আতশবাজির ব্যাগে চকলেট বোমা ভরে আতশবাজি দিয়ে ঢেকে দিব্বি নাকি ব্যাগের পর ব্যাগ গিয়েছে বাজারে এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাই এত আগে থেকেই চম্পাহাটির বাজিতে চেয়েছে বাজার। এখন অপেক্ষা শুধু ফাটার। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় প্রতিটি বাড়ির বারান্দায় বসে কয়েক জন মহিলা চকলেট বোমা প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরছেন। প্রতিটি প্যাকেটে ঢুকছে একশোটি করে। শব্দের মাত্রা অনুযায়ী প্যাকেটের দামেও রয়েছে তারতম্য। দাম মুলত তিন রকমের। কোন প্যাকেটের দাম – ৭০, কোনটা আবার ৯০ এবং কোনটা ১১০ টাকা।
আতশবাজিতে লাভ কম। সুদের বিনিময়ে মহাজনের থেকে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা ধার নিয়ে ব্যবসা করেন অনেক ব্যবসায়ী। তবে চম্পাহাটিতে তেমন কেউ কিনতে আসেও না। আর এতে যদি বিক্রি বন্ধ হয়েছে যায়, তাহলে বাজি ব্যবসায়ীদের হাড়িতে ভাত চাপবে কিভাবে? বাজি ফাটাতে ঝুঁকি রয়েছে। এবছর ঝুঁকি বেশি। তবে ব্যবসায় মুনাফা না আসলে মহাজনদের ধার কিভাবে শোধ করবেন ব্যবসায়ীরা? উঠছে সেই প্রশ্ন, বাড়ছে উদ্বেগ। এখন সরকার কি পদক্ষেপ নেয় এখন শুধু সেটাই দেখার।
ব্যুরো রিপোর্ট