Daily
বাঙালির দিপুদা ভ্রমণ যেন আরও সহজ এবং সাবলীল হতে চলেছে। সৌজন্যে ভারতীয় রেলের নতুন সদস্য বন্দে ভারত। ইতিমধ্যেই তো পাহাড়প্রেমীদের জন্য চালু হয়ে গিয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এবার পালা পুরী। বাঙালির দ্বিতীয় পছন্দের এই সমুদ্র সৈকত শহর- পুরী যাত্রা হতে চলেছে আরও দ্রুত, হ্যাসল-ফ্রি। কারণ চালু হতে চলেছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। অর্থাৎ, বাঙালির জগন্নাথ দর্শন এখন আরও সহজ হয়ে যাবে!
হাওড়া-পুরী রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান হয়ে গেল শুক্রবার। সকাল ৬:১০ মিনিটে হাওড়া থেকে পুরীর উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি পুরী পৌঁছবে দুপুর ১২:৩৫ মিনিট নাগাদ। আবার পুরী থেকে হাওড়ার উদ্দ্যেশ্যে বন্দে ভারত রওনা দেবে দুপুর ১:৫০ মিনিটে। হাওড়া পৌঁছে যাবে রাত ৮:৩০ নাগাদ। জানা গিয়েছে, মাঝে বেশ কয়েকটি স্টেশনে দু’মিনিটের বিশ্রাম নেবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। শুক্রবার প্রথম পরীক্ষামূলক যাত্রার পর ফের রবিবার অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের জন্য ট্রায়াল রান দেবে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, প্রথম ট্রায়াল রানের সময় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। মনে করা হচ্ছে, প্রতি সপ্তাহে তিন দিন অর্থাৎ সোমবার, শুক্রবার এবং শনিবার চালানো হবে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি দাঁড়াতে পারে খড়গপুর, কটক এবং ভুবনেশ্বরে। অর্থাৎ তিনটি স্টেশন ছাড়া সেমি হাই স্পিড এই ট্রেনটি আর কোথাও দাঁড়াবে না। ফলে, হাওড়া থেকে পুরী যাবার ৫০০ কিমি পথ বন্দে ভারত পার করবে মাত্র সাড়ে ছয় ঘন্টার মধ্যে।
বুধবার চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে নতুন রেক এসে পৌঁছয় হাওড়ায়। সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে সাঁতরাগাছি স্টেশনেই হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি করবে ভারতীয় রেল। তবে হাওড়া-পুরী রুটের বন্দে ভারতের উদ্বোধন কবে? এই বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোন দিন বা তারিখ জানানো হয়নি। যদিও একটা ব্যপার হল যে, বন্দে ভারতের যখনই কোন নতুন রেক এসেছে, তখনই উদ্বোধন হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। মনে করা হচ্ছে এবারেও তার অন্যথা খুব একটা হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হয়ত বন্দে ভারতের উদ্বোধন করতে পারেন পুরী থেকেই।
কয়েকদিন আগেই হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়েছে বাঙালিরা। উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার বাংলা পেতে চলেছে আরেকটি বন্দে ভারত। আর সত্যিই তো, বাঙালি কোথাও যাক আর না-যাক। দিঘা, পুরী এবং দার্জিলিংপ্রেম বাঙালির চিরন্তন। সুতরাং, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই বাঙালি উপহার পেল পুরী এবং দার্জিলিং যাবার বন্দে ভারত। তাহলে কি এবার দিঘার পালা? আপনারা কি বলেন? দিঘা রুটের জন্য কি বন্দে ভারত পাওয়া উচিৎ বাংলার? মতামত জানান কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে প্রতিবেদনটি লাইক করুন, শেয়ার করুন। আর সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল বিজনেস প্রাইম নিউজ।
বিক্রম লাহা
জীবন হোক অর্থবহ