Daily
এতদিন হাওড়া ব্রিজ ছিল কলকাতার অহংকারের জায়গা। এবার হাওড়া মেট্রো স্টেশন ও হতে চলেছে এশিয়ার গভীরতম মেট্রো স্টেশন। ইতিমধ্যেই হাওড়া মেট্রো স্টেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে চলছে। হাওড়া স্টেশনের মধ্যে এই স্টেশনের দৈর্ঘ্য ১১০ মিটার, চওড়া ৬৫ মিটার এবং গভীরতা ৩৩ মিটার। এটাই এশিয়ার গভীরতম মেট্রো স্টেশন হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। এই স্টেশন থেকে দুটি টানেল এবং গঙ্গার তলা দিয়ে বড় বাজার এলাকায় উঠছে।
গঙ্গায় প্রায় ১৫ মিটার নিচ দিয়ে যাওয়া দুটি টানেলের প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৫০ মিটার। এই দুটি টানেলের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। শেষ হয় ২০১৯ সালে। এরপরই স্টেশন তৈরীর কাজে হাত দেয় কেএমআরসিএল। এই মুহূর্তে আর্কিটেকচারাল কাজ, ইলেকট্রিক্যাল কাজ এবং ইন্টার্নাল কাজ চলছে। তবে যাত্রীসংখ্যার কথা বিবেচনা করে হাওড়া মেট্রো স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম সংখ্যা চারটি করা হয়েছে। ট্রেন প্লাটফর্মৈ ঢুকলে দু দিক দিয়েই যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন। মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার রুখতে প্লাটফর্ম স্ক্রীনিং ডোর বসানো হয়েছে। ট্রেন স্টেশনে ঢোকার পর তবেই এই স্লাইডিং ডোর খুলবে। তখনই যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন।
পুরোটাই সেন্সর সিস্টেমে দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে । যাত্রীরা ৩৩ টি এস্কেলেটর এবং সাতটি লিফট দিয়ে ওঠানামা করতে পারবেন। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ১২ টি ফায়ার এক্সিট পয়েন্ট ছাড়াও ২০০ টি সিড়ি দিয়ে ওঠানামা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্টেশনের কাজ পুরোপুরি শেষ হলেই ট্রায়াল রান শুরু হবে। আর ট্রায়াল রান সফল হলেই আগামী বছর থেকেই চালু হতে পারে কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে সংযোগকারী মেট্রো পরিষেবা।
ব্যুরো রিপোর্ট