Daily
বাংলার কালজয়ী সিনেমা ভানু পেল লটারিতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় মেলায় পুতুল বিক্রি করেছিলেন। ‘পুতুল নেবে গো’ গানটি তারপর থেকেই লোকমুখে বিখ্যাত হয়ে যায়।
এখন সবই অতীত। না আছে ভানু। না আছে মেলা। না আছে পুতুল নেওয়ার হাঁক ডাক। আছে শিল্পীদের ঘরে শুধুই করোনা জনিত শূন্যতা। বেঁচে থাকার জিয়ন কাঠিটা বাঁধা রয়েছে আজ অনলাইনের হাতে। তারই মধ্যে অন্যতম হল পূর্ব বর্ধমানের অগ্রদ্বীপের দারুশিল্প বা কাঠ শিল্প। যে শিল্পের খ্যাতি জগৎজোড়া আজ সেই শিল্পই ক্রেতার অভাবে রীতিমতো ধুঁকতে শুরু করেছে। ফলে দৈন্যদশা ঘোচাতে শিল্পীরা এখন আর মেলা নয় ভরসা রাখছেন অনলাইন ব্যবসায়।
সামনে পুজো। এদিকে দেখা নেই ক্রেতার। নেই মেলা, নেই এগজিবিশন। তাই গতবছরের মত এই বছরেও তাঁরা তৈরি করে রাখছেন আগাম কিছু পুতুল। শেষমুহূর্তে যদি অর্ডার আসে।
আরেক শিল্পী যদিও বললেন যে অনলাইনে ব্যবসা হচ্ছে কিন্তু সরকারি সহায়তা পেলে হয়ত শিল্পের সঙ্গে শিল্পীর বেঁচে থাকাটাও অনেকটা সুবিধে হবে।
তবে এই শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরায় কথা বললেন জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি দেবু টুডু।
বৈষ্ণব প্রভাবিত এই অগ্রদ্বীপ। তাই শিল্পের সাথে সম্পর্ক রয়েছে বৈষ্ণব ধারার। কখনো তৈরি হচ্ছে কাঠের পেঁচা কখনোবা তৈরি হচ্ছে গৌড় নিতাই কখনোবা টেবিল ল্যাম্প কাঠের দুর্গা থেকে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি। অগ্রদ্বীপের কাঠের পুতুল যেমন স্থান পেয়েছে রাশিয়ার ডল স্পেনের মিউজিয়ামে তেমনি আফ্রিকান ডলের আদলে তৈরি কাঠের দুর্গা প্রতিমা স্থান পেয়েছে বিশ্ববাংলা বিপণন কেন্দ্রগুলিতে। বঙ্গীয় ঘরানার এই কাঠের পুতুলের জন্য বিখ্যাত বর্ধমানের অগ্রদ্বীপ। অনলাইনে ব্যবসা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু আগেকার সেই চেনা পরিচিত ব্যস্ততা যেমন উধাও তেমনই কোথাও যেন ফিকে হয়ে গেছে শিল্পের গুরুত্ব। তাই ডিজিটাল নির্ভর বিশ্বে অক্ষয়, মানিক বা শ্রীকান্তর মত শিল্পীদের ভরসা রাখতে হচ্ছে অনলাইন বাজারের উপরেই।
পত্রলেখা বসু চন্দ্র
বর্ধমান