Daily
চাষিভাইদের অনেকেরই ধারণা রয়েছে যে ধান কাটার পর জমিতে পরে থাকা অবশিষ্ট অংশ বা নাড়া পোড়ালে নাকি পটাশ তৈরি হয়। কিন্তু চাষি ভাইরা, আপনাদের এই ধারণা ভুল। নাড়া পোড়ালে জমিতে কোনরকম পটাশ তৈরি হয় না। বরং নাড়া পোড়ানোর ফলে ক্ষতিকর কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড তৈরি হয়। যা পরিবেশে তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে এবং বিশ্ব উষ্ণায়নকে প্রভাবিত করে। আর সেই বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার সারতেই সম্প্রতি এক সচেতনতামূলক কর্মসূচী পালন করে পুরুলিয়া জেলার নেতুরিয়া ব্লকের কৃষি দপ্তর।
ইদানিংকালে ধান কাটার জন্য কম্পোজিট মেশিন ব্যবহার করেন চাষি ভাইরা। ফলে ধান গাছের যে অবশিষ্টাংশ পরে থাকে তা মাটি থেকে উপড়ে ফেলা যায় না। বড় হয় এবং অন্য কোন ফসল চাষের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে। কিন্তু এটা পুড়িয়ে ফেললে জমির উর্বরাশক্তি নষ্ট হতে পারে। তাই বিকল্প কি উপায়ে এই নাড়া থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে, সেটাই জানালেন কৃষিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ডঃ পরিমল বর্মণ।
এছাড়াও আর কি উপায়ে এই নাড়া ব্যবহার করতে পারেন কৃষকবন্ধুরা, সেই বিষয়েও বিস্তারিত জানালেন তিনি।
এই ধরণের সচেতনতামূলক প্রচার যাতে নেতুরিয়া ব্লক সহ রঘুনাথপুর সাবডিভিশনের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পরে তার জন্য সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়। ১৩০ থেকে ১৫০ জন কৃষক এবং কৃষিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই র্যালিতে অংশগ্রহন করেন।
এইধরণের সচেতনতামূলক প্রচার সম্বন্ধে জেলার চাষিভাইরা কি বলছেন, শুনে নেব।
বাংলার ধানী জমিতে নাড়া পোড়ানো এবং তা থেকে পরিবেশের যে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে সেই বিষয়ে জেলায় জেলায় চলছে সচেতনতামূলক কর্মসূচী। পুরুলিয়া জেলার জমি এমনিই চাষের অনুকূল নয়। তার উপর আবার নাড়া পোড়ালে জমির ক্ষতি সাংঘাতিক পরিমাণে হতে পারে। তাই কৃষি দপ্তরের এই পদক্ষেপ যে সকল চাষিভাইদের মধ্যে একটা সচেতন মনভাব গড়ে তুলবে, তা বলাই যায়।
সন্দীপ সরকার
পুরুলিয়া