Agriculture news
ফলন কম হলে চাষিদের ক্ষতি। কিন্তু ফলন বেশী হলেও যে চাষিদের মুখে হাসি দেখা যায় না। অত্যধিক আলুর ফলন হওয়ার কারণে তাই চাষিদের মাথায় হাত। পর্যাপ্ত হিমঘর না-থাকার কারণে এখন দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কিন্তু যেভাবে গরমের বহর দিন দিন বাড়ছে, তাতে মনে করা হচ্ছে, অত্যধিক ফলনের জেরে না-ক্ষতির বোঝা টানতে হয় আলু চাষিদের।
এই বছরে আলুর ফলন হয়েছে স্বাভাবিকের থেকে বেশি। কিন্তু জায়গা নেই আলু রাখার। রায়গঞ্জের পানিশালার হিমঘরে পাওয়া যাচ্ছে না জায়গা। তার জেরেই চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। মনে করা হচ্ছে, যেভাবে গরমের বহর বাড়ছে, তারপর হয়ত আলু চাষিদের ক্ষতির অঙ্ক আরও বাড়বে বৈ কমবে না। কৃষকরা মনে করছেন, এইভাবে যদি বস্তা বস্তা আলু বোঝাই গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়, তাহলে গরমে আলু নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকবে। এমনিতেই কৃষকরা নাকি তেমন একটা দাম পাচ্ছেন না। তারপর এই ক্ষতি আলু চাষিদের জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে উঠবে। এমনটাই জানাচ্ছেন কৃষক অশোক মাহাতো এবং আকবর আলি।
হিমঘরের সমস্যা যে এখানে রয়েছে, সে কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে হিমঘর কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, এই সময় আলু হিমঘরের রাখার জন্য কৃষকদের সমস্যায় পড়তেই হয় তবে এবছর অত্যাধিক ফলন বেশি হওয়ায় সমস্যাটা আরও প্রকট হয়েছে। তবে হিমঘর কর্তৃপক্ষ মনে করে, চাষিদের খুব একটা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না। কারণ, এই আলু চলে যাবে নেপাল এবং বিহারে। সুতরাং আলু চাষিরা যে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন, সেটা কিছুটা অমূলক তো বটেই।
হিমঘর কর্তৃপক্ষের কথা শুনে মনে হচ্ছে, উত্তর দিনাজপুরে হিমঘরের সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিৎ। কারণ ফলন কম হল, চাষিদের ক্ষতি হল- সেটা একটা ব্যপার। কিন্তু ফলন বেশি হল, এদিকে রাখার জায়গা না-থাকার কারণে ফলন নষ্ট হয়ে যাবে, সেটা তো কোন কাজের কথা নয়। চাষিদের ক্ষতির আশঙ্কা তাই অমূলক বলা যাবে না। এখন হিমঘরের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে প্রশাসন কতটা সচেতন, সেদিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে আলু চাষিদের।
অনুপ জয়সোয়াল
উত্তর দিনাজপুর