Market
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সংঘাত গোটা বিশ্ব বাজারে তৈরি করেছে অস্থিরতা। মূল্যবৃদ্ধির কোপ পড়েছে বিশ্ব জুড়েই। এমন একটি অস্থির সময়ে যখন মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন রাষ্ট্রনেতারা, তখন লাভের অঙ্ক ভালোরকম বাড়িয়ে তুলছেন ভারতের দুই ধনকুবের- গৌতম আদানি এবং মুকেশ অম্বানি। জানা গিয়েছে, আদানি গ্রুপের লাভ চলতি বছরের মার্চ শেষে বেড়েছে ৩০ শতাংশ। পিছিয়ে নেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ নিজেও। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্সের একটি সমীক্ষা বলছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। অন্যদিকে অম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ ৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ৯২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোন সমীকরণ মেনে আদানি-অম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ যুদ্ধের আবহে এভাবে বৃদ্ধি পেল?
যুদ্ধ শুরুর আগে পর্যন্ত এই দুই ধনকুবের গ্রিন এনার্জির দিকে লক্ষ্য রেখেছিলেন। সেইমতন ১৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল আদানি এবং অম্বানির থেকে। কিন্তু দেখা গেল, জীবাশ্ম ভিত্তিক জ্বালানির চাহিদা এই যুদ্ধের কারণে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে অনেকটাই। তার কারণ, বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিকে এতদিন পর্যন্ত জ্বালানির চাহিদা মিটিয়ে দিত রাশিয়া। কিন্তু জি-৭ এর দেশগুলি ইতিমধ্যেই রুশ জ্বালানির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প পথে জ্বালানির প্রয়োজন পড়েছে তাঁদের। ফলে আবারও বেড়েছে কয়লার চাহিদা। যা ২০২৪ সাল পর্যন্ত থাকতে পারে ঊর্ধ্বমুখী। আর যে কারণে গ্রিন এনার্জি নিয়ে এখনই মাথা ঘামাতে নারাজ অম্বানি এবং আদানি। এদিকে কয়লা সহ জ্বালানি তেলের দামও রকেট গতিতে বাড়ছে। ফলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবসা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দুজনেই। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আদানি তাদের কয়লা খনি সম্প্রসারণের কাজ পুরোমাত্রায় চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে কম দামে অপরিশোধিত তেলের কার্গো কিনে নিচ্ছে অম্বানি। যেভাবে বিশ্ব বাজার ধরতে দুই ধনকুবের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে তাতে আর কিছু হোক বা না হোক, সম্পত্তির পরিমাণ বাড়াতে কোনরকম সমস্যা হচ্ছে না অম্বানি এবং আদানির।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ