সর্বনাশা মোবাইল গেমের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শৈশব। অতএব, সচেতন হন বাবা-মায়েরা। এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী তাঁর সাম্প্রতিকতম সিনেমা ‘হাবজি গাবজি’-তে। যা বাংলা সিনেমার দর্শককে হলমুখো করতে পারল ভালোরকম। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, বাংলা সিনেমার ব্যবসায় যে খরা লেগেছিল, সেটা অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পারল ‘হাবজি গাবজি’। সিনেমাটি নন্দনে রিলিজ করার পর প্রথম স্ক্রিনিংয়েই দেখা গেল হাউজফুল। সেই ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজে শেয়ারও করেছেন পরিচালক।

পদ্মনাভ দাশগুপ্তের চিত্রনাট্য। পরমব্রত, শুভশ্রীর অভিনয়। সঙ্গে বড় পাওয়া সমন্ত্যকদ্যুতি মিত্র। সবমিলিয়ে মোবাইল গেমের ভয়াবহ ছবিটা থ্রিলারের মোড়কে ভালোরকম ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। চিত্রনাট্য থেকে অভিনয় থেকে এই সিনেমার মেকিং- পুরোটাই বেশ টানটান হওয়ার কারণে বাংলা সিনেমার দর্শকরা হলমুখী হচ্ছেন। আর সেটাই ফের প্রমাণ করে দিল, ভালো কনটেন্টের জন্য এখনও হাপিত্যেশ করে বসে থাকেন বাংলা সিনেমার দর্শকরা। ভালো বিষয় হলে টিকিট কেটে সিনেমা দেখতে কোন আপত্তি নেই তাঁদের। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই বাংলা সিনেমাকে লাভের মুখ দেখাতে পেরেছে অনীক দত্ত পরিচালিত অপরাজিত। সিনেমাটি যেভাবে ব্যবসায়িক সাফল্য এনে দিয়েছে, সেটা বর্তমান সময়ের নিরিখে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু ‘হাবজি গাবজি’ রিলিজের পরে বুঝতে পারা তেমন একটা কঠিন হল না যে, সিনেমার গল্প যদি ভালো হয় তবে দর্শকরা সিনেমা নির্মাতাদের হতাশ করবেন না। অন্যদিকে রিলিজ করেছে সৃজিত মুখারজির এক্স=প্রেম। সৃজিতের সিনেমার নির্দিষ্ট কিছু দর্শক থাকলেও, নিউ এজ প্রেম নিয়ে তৈরি এই সিনেমাটি দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হল। পিছিয়ে রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘হাবজি গাবজি’-র কাছে। সিনেমা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেভাবে হাবজি গাবজি দর্শক টানতে সক্ষম হয়েছে, তাতে ব্যবসায়িক সাফল্য দেখতে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না সিনেমা নির্মাতাদের। আপনিও কি হাবজি গাবজি দেখেছেন? মনে করেন, সমাজকে বার্তা দেওয়ার দিক থেকে হাবজি গাবজি সফল? মতামত জানান আমাদের কমেন্ট বক্সে।