Daily

গলা খুশখুশ? মধু খান। ক্যালোরি নিয়ে কনসার্ন? মধু খান। স্কিন কেয়ার করবেন? মধু কিন্তু মাস্ট। সুখ টু অসুখ, মধুতেই মধুরেণ সমাপয়েৎ। তবে হ্যাঁ! মধু কিন্তু খাঁটি হওয়া চাই। কিন্তু বাজারের যা অবস্থা, তাতে খাঁটি মধু পাওয়া যাবে কোথায়? কোথায় আবার? উত্তর ২৪ পরগণা জেলার আমডাঙার মধুবন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছে। বেকারত্ব ঘোচাতে এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবকদের নিয়ে, কৃত্রিম উপায়ে মৌমাছি প্রতিপালন করেন তারা।
বাগানজুড়ে ইতিউতি ছড়ানো চৌকোনা বাক্স, যার একদিকে ছোট্ট একটা দরজা। সূর্যের আলো পেলেই সেই দরজা দিয়ে পিলপিল করে বেরিয়ে আসছে মৌমাছি। গন্তব্য, ফুলের দেশ। মানে ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে যাচ্ছে আর কি। প্রতিটা বাক্সে একটি রানী মৌমাছি, কয়েকটা পুরুষ মৌমাছি আর বাদবাকি সব শ্রমিক মৌমাছি। বাক্সটা একটু দেখার আগ্রহ প্রকাশ করতেই অবলীলায় বাক্স থেকে মৌমাছি ভর্তি ট্রে বের করে চাক দেখাতে থাকলেন গোষ্ঠীর সদস্যরা। তবে, একটা কথা স্বীকার না করে থাকা যাচ্ছে না। এনারা কেউই কিন্তু খাতরও কি খিলাড়ি-র থেকে কম কিছু নয়। সে যাই হোক। কত রকমের মৌমাছি এখানে প্রতিপালিত হয় জানেন?
তবে ইদানিং আবহাওয়া এই গরম তো এই ঠাণ্ডা। তো এই আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে মধু চাষ ঠিক কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
বছরের চার মাস বাদে, বাকি সবসময়ই মধু কিন্তু বাজারে অ্যাভেইলেবল। রংবেরঙের মধুর শিশি তো দোকানে সাজানো দেখছেন। কোনটা আসল কোনটা নকল কিংবা কত ধরণের মধু এই রাজ্যে পাওয়া যায় জানেন? শুনুন তবে।
মৌমাছির খাবার হিসেবে লেবু মধু জল চিনির একটা মিশ্রন প্রস্তুত করেন মৌপালকরা। এই খাবার খেয়েই বেঁচে থাকে মৌমাছিরা। মৌমাছি থেকে আমরা শুধুমাত্র মধুই যে পাই, তেমনটাই নয়। একাধিক বাইপ্রোডাক্টও পাওয়া যায় এই মৌমাছি থেকে।
মৌমাছি প্রতিপালন কিন্তু আসলেই একটা লাভজনক ব্যবসা। এ রাজ্যের অনেক মানুষই মৌমাছি প্রতিপালন করে উপার্জন করছেন, স্বনির্ভর হচ্ছেন। আর আগামীদিনেও যে এই লাভজনক ব্যবসার প্রতি মানুষের আগ্রহ আরও বাড়বে, তা আশা করাই যায়।
বিক্রম লাহা
উত্তর ২৪ পরগণা