Market
মূল্যবৃদ্ধির কোপে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। তাই মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ বৃদ্ধির পদক্ষেপ। এই পরিস্থিতিতে ব্যহত হতে পারে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি। এমনই মত আর্থিক বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এর ফলে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতির এগিয়ে যাওয়ার রাস্তাটা আদৌ কি মসৃণ থাকবে যখন করোনার পর্ব কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে দেশের শিল্পমহল?
বাজেট হওয়ার আগে পূর্বাভাস ছিল, দেশের আর্থিক বৃদ্ধি থাকতে পারে ৮ থেকে ৮.৫ শতাংশের মধ্যে। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, এই বৃদ্ধির পূর্বাভাসে হতে পারে ছাঁটাই। মানে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াতে পারে ৭.২ শতাংশে। তার অন্যতম প্রধান কারণ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধ কবে শেষ হবে সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন কেউই। ফলে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, সঙ্গে সার বা খাদ্যপণ্যের দামের বৃদ্ধি আর কতটা হতে পারে, সেই নিয়ে এখনই কোন ভবিষ্যৎবাণী করতে চাইছেন না আর্থিক বিশেষজ্ঞমহল। এদিকে বছর ঘোরার আগেই গুজরাতে নির্বাচন। মূল্যবৃদ্ধির জ্বালায় এমনিতেই ধৈর্য্যচ্যূতি ঘটছে সাধারণ মানুষের। তাই যেনতেনপ্রকারেণ মূল্যবৃদ্ধিকে আটকাতে চাইছে মোদী সরকার। এদিকে অন্য কোন রাস্তাও তাদের হাতে নেই। আর যে কারণে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ বৃদ্ধির পথকেই মান্যতা দিয়েছে কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই এখন যদি ব্যাঙ্ক ঋণে সুদের হার বাড়ে, আর অন্যদিকে বাজারে নগদের জোগান কমে, তাহলে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এলেও আর্থিক বৃদ্ধি কতটা ধাক্কা খাবে সেই নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ