Daily

কিছু খেলেই বদহজম কিংবা গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে আপনার। দেখ না দেখ গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নিচ্ছেন, স্বস্তি পাওয়ার জন্য। অথবা ব্যাথার ওষুধের সাথেও খাচ্ছেন গ্যাসের ওষুধ। আপনার শরীরে কত বড় বিপদ ডেকে আনছেন জানেন কি?
রিপোর্ট বলছে, গ্রামের চেয়ে শহরের সিংহভাগ মানুষ ওমিপ্রজাল গোত্রের ওষুধের উপর নির্ভরশীল। কারন এই ওষুধটি পাকস্থলি থেকে সবরকম অ্যাসিড বেরনোর পথ বন্ধ করে দেয়। আর আপনিও বেশ স্বস্তি পান। এই ওষুধ একাধিক মাত্রায় ব্যাবহারে রয়েছে সাংঘাতিক কুফল। আর তার জেরে বিপদে পরতে হয় শহুরে মানুষজনকে। কারন শহুরে মানুষের দৈহিক শ্রম গ্রামের মানুষের তুলনায় কম হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শহরের মানুষ যদি তাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনে, তবে বিপদের আশঙ্কা কিছুটা কম হতে পারে।
কোন কোন ক্ষেত্রে অপব্যাবহার হচ্ছে এই ওষুধের? আসুন দেখে নেই এক নজরে
• ব্যাথার ওষুধের সাথে আমরা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধও খেয়ে থাকি। তবে গাস অম্বলের সমস্যা না থাকলে এই ওষুধ গ্রহন করাটা বাধ্যতামূলক নয়।
• অম্বল হলে লিকুইড জাতিয় ওষুধ, ক্যাপস্যুল জাতিয় ওষুধের থেকে বেশি কার্যকরী। কারন ক্যাপস্যুল পাকস্থলিতে গিয়ে কাজ শুরু করতে বেশ খানিকক্ষন সময় নেয়।
• বেশি পরিমাণে এই ওষুধ খেলে আপনার শরিরে, রক্তাল্পতা, অপুষ্টি এমনকি ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ দেখা দিতে পারে।
• অস্তিওপরেসিস-এর সম্ভাবনা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। বাড়তে পারে ব্যাথা-বেদনা।
• এই ওষুধ নিয়মিত খেলে, পাকস্থলিতে অ্যাসিডের পরিমান কমে গিয়ে ক্ষতিকর জীবাণু সৃষ্টি হয়, জার ফলে ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
ব্যুরো রিপোর্ট