Daily

উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জট হয়ত কাটতে চলেছে। যার ফলে পরীক্ষার্থীদের ক্ষোভও অনেকটা কমে যেতে পারে। কারণ কমিশন জানিয়েছে, নম্বর বিভাজন করলেই বুঝতে পারা যাবে কোথাও কোন অনিয়ম হয়নি। অন্তত পরীক্ষার্থীদের মনে এইটুকু আশা জাগিয়ে দিতে সাহায্য করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন সাতদিনের মধ্যে ইন্টার্ভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের নম্বর বিভাজনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এমনকি যারা ডাক পাননি, তাঁদেরও কেন বাতিল করা হল সেই খবরও জানাতে হবে।
অফলাইনে হওয়া এই মামলাটিতে তলব করা হয়েছিল কমিশনের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে অ্যাকাডেমিক স্কোরের ক্ষেত্রে ৫০ নম্বর এবং টেটের ৪০ নম্বরের মধ্যে কে কত নম্বর পেয়েছেন তা উল্লেখ করা অত্যন্ত জরুরি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইন্টার্ভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা কম করে ২১ হাজার এবং আবেদনকারির সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি। আদালতের নির্দেশ মাফিক এদের প্রত্যেকের নম্বরই আলাদা করে প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে যা সময়সাপেক্ষ বলে মনে করছেন পরীক্ষার্থীরা। তবে কমিশন বলছে অন্য কথা। কমিশনের বক্তব্য, যেহেতু এখন গোটা কাজটাই হচ্ছে কম্পিউটারচালিত, তাই নম্বর প্রকাশ করতে কমিশনের কাছে খুব একটা সমস্যা তৈরি হবেনা। এখন পরীক্ষার্থীদের কাছে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় রইল না।
ব্যুরো রিপোর্ট