Daily
রাজ্যের হেভিওয়েটদের নিয়ে নতুন অন্তবর্তী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নতুন নির্দেশে রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়করা সরাসরি জামিন না পেলেও থাকবেন কার্যত গৃহবন্দি। কাজও করবেন ওয়ার্ক ফর্ম হোম মোডে।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতি তপব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণেই নারদ মামলার শুনানি সম্পূর্ণ হল না। তাই বেরিয়ে আসলো না কোন সুস্পষ্ট রায়। ঝুলে থাকল হেভিওয়েটদের ভাগ্যও। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি বৃহত্তর বেঞ্চ শুনবে এই মামলা নতুন করে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে খুব তাড়াতাড়ি বেঞ্চ গঠনের কথা বলা হলেও আদালত কিন্তু স্পষ্ট করে বলেনি কবে এই বেঞ্চ তৈরি হবে আর কবে থেকেই বা শুরু হবে নতুন করে শুনানি।
তবে সিবিআইয়ের অন্য রাজ্যে মামলা স্থানান্তরের আর্জি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
নতুন নির্দেশিকায় আদালত বলে, নেতা-মন্ত্রীরা চিকিৎসার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন। ফিরহাদ হাকিম সহ যারা প্রত্যক্ষভাবে করোনা যুদ্ধে শামিল তারা ওয়ার্ক ফর্ম হোম মোডে বাড়িতে বসেই ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সরকারি ফাইল সহ যাবতীয় কাজকর্ম করতে ও দেখতে পারবেন।
ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মত একাধিক হেভিওয়েট এই মামলায় জড়িত থাকলেও একমাত্র ফিরাদ হাকিম বাদে সকলেই রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। হাসপাতালে যারা ভর্তি রয়েছেন তাঁরা কোথায় থাকবেন তার সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকেরা। তবে ববি হাকিম প্রেসিডেন্সি থেকে বাড়িতে বসেই চালিয়ে যাবেন করোনার বিরুদ্ধে কলকাতার মানুষকে বাঁচানোর লড়াই।
মন্ত্রী, বিধায়ক ও প্রাক্তন বিধায়কদের কোর্টের নির্দেশে ওয়ার্ক ফর্ম হোম শিডিউল বেশ নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
মানস চৌধুরী, কলকাতা