Trending

১৯৮৯ সালে রিলিজ করেছিল বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না। সিনেমার নান্দনিক তত্ত্ব না-কচলিয়ে বরং বলা যেতে পারে, এই সিনেমা বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন করে ব্যবসায়িক সাফল্য দেখিয়েছিল। কারণ, সিনেমা রিলিজের পর দুই বাংলার দর্শকদের মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল এই সিনেমার নাম। কাট টু ২০২২। এবার ‘হাওয়া’। আর সেই হাওয়ার দাপটে আপাতত চঞ্চল দুই বাংলার মানুষ। মেজাবুর রহমান সুমন পরিচালিত এই সিনেমাটি বাংলাদেশে প্রায় ১০০ দিন নন-স্টপ ঝোড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছে। সেই উন্মাদনার রেশ লাগে এপার বাংলার মানুষদের গায়েও। তারপর যখন নন্দনে ৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে যখন হাওয়ার স্ক্রিনিং হবে বলে শোনা গেল, তখন সিনেপ্রেমীদের ঝড় যে বইবেই সেটা প্রত্যাশিত ছিল। হলও তাই। শনিবার নন্দন উত্তাল হল হাওয়ার জন্য। উপচে পড়া ভিড় আবারও প্রমাণ করে দিল, ভালো কনটেন্টের অপেক্ষায় থাকেন প্রত্যেকেই।
কলকাতায় নন্দনে শুরু হয়ে গিয়েছে পাঁচ দিন ব্যপী ৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। আর প্রথম দিনেই ব্যপক সাড়া। তার অন্যতম কারণ অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যিনি এখন দুই বাংলার অন্যতম সেরা অভিনেতা হিসেবে নিজের যায়গা পাকা করে নিয়েছেন। আর এটার পেছনে অবশ্যই কাজ করেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। কারণ এমনিতে বাংলাদেশের সিনেমা এই বাংলায় রিলিজ করে না। কিন্তু ওটিটির সুবাদে আজ সবই সম্ভব। ফলে, চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় এখন কারুর অজানা নয়। তাঁকে নিয়ে প্রত্যাশার পারদ যে চরমে। সেটাই প্রমাণ করল হাওয়া।
সিনেমার মেকিং-য়ে যে মুনশিয়ানা রয়েছে সেটা দর্শকরা বুঝতে পেরেছিলেন ট্রেলার দেখে। তাই শুধু ওপার বাংলা বলে নয়। এপার বাংলাতেও হাওয়া নিয়ে উন্মাদনা ছিলই। এমনকি সিনেমাটোগ্রাফি, লাইট, এডিটিং- এই সবই যেন বাংলা সিনেমার দর্শকদের জন্য এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা নিয়ে এলো। আর সেটাই শেয়ার করলেন দর্শকরা।
হাওয়া যে এই বাংলাতেও এক দারুণ উন্মাদনা তৈরি করবে, সেটা হাওয়া টিমের কাছে খুব একটা অবাক করার মতন বিষয় নয়। আর সেটা আবারও প্রমাণিত হল নন্দন চত্ত্বরে ভিড় দেখে। কিন্তু চলচ্চিত্র উৎসব মানেই তো মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। তাহলে কি আর বাকি সিনেমাটা দেখা হবে না? কী বললেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী?
হাওয়া দেখে কার্যত উচ্ছ্বসিত প্রসেনজিত চক্রবর্তী নিজেও। হাওয়া নিয়ে যে তাঁর প্রত্যাশাও কম ছিল না।
সাদা-সাদা, কালা-কালা গানটা রিলিজ করার পরেই নেটমাধ্যমে সেটা তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। তারপর সিনেমা রিলিজ করে। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় প্রশংসিত হয় দেশে-বিদেশে অনেক জায়গায়। সিনেমা কখনও নিখুঁত হয়না। সমালোচিত হবেই, তা সে যত ভালো সিনেমাই হোক না-কেন। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে যে টানটান থ্রিলার সমেত একটা ভিন্ন স্বাদের বাংলা ভাষায় সিনেমা উপহার পেতে চলেছেন সিনেপ্রেমীরা, সেটাই যেন নতুন করে হাওয়াকে পৌঁছে দিল অনেকটাই ওপরে। তার সঙ্গে উঠে এলো একই প্রশ্ন। হাওয়া যেভাবে বাংলা সিনেমার দর্শকদের জন্য একটা পাথব্রেকিং রাস্তা তৈরি করে দিল, এপার বাংলার দর্শকদের জন্যও কি ভবিষ্যতে এমনই টানটান উত্তেজনায় ভরপুর একটি সিনেমা উপহার দিতে এগিয়ে আসবেন পরিচালকরা?
বিক্রম লাহা
বিজনেস প্রাইম নিউজ