Daily
বাংলার গ্রামন্নয়ন তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কৃষি যদি ফার্স্ট প্রায়োরিটি হয়, তাহলে মৎস্য এবং প্রাণী সম্পদ উন্নয়নের জায়গাটা থাকে ঠিক তার পরেই। কাজেই প্রাণী এবং মৎস্য সম্পদের উন্নয়নকে একেবারে গ্রাসরুট পর্যন্ত পৌঁছে দিতে নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষে এই সম্পদের উন্নয়নের লক্ষ্যে বরাদ্দ হয়েছে ৯১৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৭২ কোটি টাকা রয়েছে হরিণঘাটা ফার্মের উন্নয়নের লক্ষ্যে।
এবার সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই গত ১৮ মে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রাণী ও মৎস্য সম্পদ স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধি দল হরিণঘাটা আসেন। সেখানকার বিভিন্ন প্রজেক্টগুলো ইনস্পেকশনের উদ্দেশ্যে। হিমায়িত গো-বীজ বীক্ষণাগার থেকে শুরু করে বুল স্টেশন সহ প্রতিটি ক্ষেত্র তারা ঘুরে দেখেন। আগামী দিনে হরিণঘাটাকে ঢেলে সাজানোর উদ্দেশ্যে এবং নতুন কিছু প্রোজেক্ট শুরু করার উদ্দেশ্যে চলে একপ্রস্থ আলোচনা।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মৎস্য ও প্রাণী দপ্তরের ৭/৮ জনের একটা প্রতিনিধিদল এদিন এখানে আসেন। তারা হরিণঘাটা ফার্মে একটি স্টাডি ভিসিটের মাধ্যমে সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। একইসাথে ভবিষ্যতে কীভাবে এর উন্নয়ন করা যায় সে নিয়েও ভাবনা চিন্তা করেন।
এদিনের এই ফিল্ড ভিসিট ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য তথা বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল ছাড়াও বিধায়ক নমিতা সাহা, হাজী নুরুল, নিয়ামত শেখ, নিখিল রঞ্জন বর্মণ, দুর্গাদাস মুর্মু সহ আরও অনেকেই।
সুব্রত সরকার
নদীয়া