Daily
কচুরিপানা শিল্প। শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের নিদান বাতলে দিতে কচুরিপানা শিল্প এবং তা নিয়ে সম্ভাবনার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ঠিক তারপরেই বিদ্রূপের ঝড় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। ক্রিয়েটরদের কাছে মাননীয়ার ওই ২০ সেকেন্ডের ক্লিপিংই তখন টপ কন্টেন্ট। সে যাই হোক। কিন্তু বাস্তবে যে কচুরিপানা দিয়েও উপার্জন করা সম্ভব, তা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিল দুর্গাপুর।
দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে হস্তশিল্পের সম্ভার সাজিয়ে সেজে উঠেছে এক শোরুম। যার মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে কচুরিপানার তৈরি হাতের কাজ। একদিকে নজরকাড়া ডিজাইন অন্যদিকে পরিবেশবান্ধব প্রোডাক্ট। কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে হ্যান্ডব্যাগ, ফাইল, ডায়েরি ইত্যাদি। আর এসব তৈরি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন প্রায় ৫ হাজার মহিলা।
কিন্তু কচুরিপানা দিয়ে এমন সুন্দর জিনিস তারা বানান কীভাবে?
নতুনত্ব জিনিশ যে সকলের কাছে বেশ ভালোরকম চাহিদা তৈরি করবে, সে বিষয়ে তো কোন সন্দেহই নেই। তাই কচুরিপানার তৈরি এই সমস্ত হাতের কাজের ডিম্যান্ডও ভালোই। তো ভালো জিনিসের দামটাও কি ভালোই নাকি?…
তবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শুধু কচুরিপানা বলেছেন বলে সেটুকুতেই থেমে থাকেননি তারা। আরও কত্ত কত্ত অদ্ভুত প্রোডাক্ট তাদের কাছে পাওয়া যায় জানেন?
১লা অক্টোবর ২০২২ এই পথ চলা শুরু করে এই হস্তশিল্পের শোরুম। আর মাত্র এই কদিনেই বাজারে বেশ ভালো একটা জায়গা তৈরি করে ফেলেছেন তারা। তবে আগামিদিনে সরকারি সাহায্য পেলে যে বাণিজ্যিকভাবে এই শোরুমের যে প্রসার ঘটবে তা বলাই যায়।
কাঞ্চন দাস
দুর্গাপুর