Daily
যেভাবে দিন দিন মানুষের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, তাতে এটুকু স্পষ্ট যে, এই ইন্ডাস্ট্রির আগামী বেশ ব্রাইট। সুতরাং যে ইন্ডাস্ট্রির ফিউচার এতটা সম্ভবনাময়, সেই ইন্ডাস্ট্রিতে করে দেখানোর অনেক কিছু থাকে। ঠিক এই ভাবনাচিন্তা থেকেই ট্যুরিজম এবং হোটেল ম্যানেজমেন্টকে পাখির চোখ করে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের আয়োজন করল গুরুনানক ইন্সটিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট।
দুদিন ব্যাপী এই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন দেশ এবং বিদেশের এক্সপার্ট স্পীকাররা। আর ছিলেন এই প্রজন্মের স্টুডেন্টরা। তবে, জব অপরচ্যুনিটির কথা যখন উঠলই, তখন বলে রাখা ভালো, অনান্য ইন্ডাস্ট্রির মতই এই ইন্ডাস্ট্রিতে একটা দারুন বিষয় রয়েছে। আর সেটাই এই ট্যুরিজম এবং হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইন্ডাস্ট্রির ইউএসপি। কী জানেন?
দেশে বিদেশে কোথায় এই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কী ধরণের প্ল্যান বা রিসার্চ চলছে- তা একেবারে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা। সুন্দরভাবে হাইলাইটেড হয় পর্যটন শিল্পে আগামীর রূপরেখা। সুযোগ-সম্ভাবনার কথা। তবে, সুযোগ বলুন সম্ভবনা, যতই থাকুক। উল্টোপীঠে চ্যালেঞ্জ তো থাকতেই হবে। আসলে সুযোগ আর চ্যালেঞ্জ- এই দুটোই একে অপরের পরিপূরক। তা সে যেকোনো শিল্পের ক্ষেত্রেই। প্রশ্ন হচ্ছে, পার্টিকুলারলি এই পর্যটন এবং আতিথেয়তা শিল্পের চ্যালেঞ্জটা কী?
চ্যালেঞ্জ যখন আছে, তখন তার সলিউশনও থাকতেই হবে। আর এদিনের এই কনফারেন্স ছিল সেই এপিসেন্টার, যেখানে ভারতের ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা আর চ্যালেঞ্জ নিয়ে হল বিস্তারিত বিশ্লেষণ। পোস্টার প্রেজেন্টেশন থেকে শুরু করে রিসার্চ পেপার নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা, সঙ্গে ছিলেন দেশ বিদেশের এক্সপার্টরা।
একেবারে গ্রাউন্ড লেভেল থেকে যদি এই বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয়, তাহলে বিষয়টা মন্দ হয় না। কী বলেন? ভারতে ঘুরতে যাওয়ার এত এত জায়গা। সেখানে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা। তাই এবার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সেই জানকাড়ি পৌঁছে দিতেই অনুষ্ঠিত হল এই ইভেন্ট।
পর্যটন যেমন মানসিক আনন্দ দেয়, তেমনই দেশের অর্থনৈতিক ভাঁড়ার টইটম্বুর রাখতে এই শিল্পের জুড়ি মেলা ভার। জব ক্রিয়েশনের দিক থেকেও এগিয়ে পর্যটন। ট্যুরিজম এবং হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে কেন ভাবা উচিৎ ছাত্রছাত্রীদের?
একেবারেই তাই। আর তাই প্রয়োজন আগামী প্রজন্মের এনগেজমেন্ট। কী বার্তা দিচ্ছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক্সপার্টরা? শুনে নিন।
তাহলে বুঝতে পারছেন তো? ঠিক কতটা ইম্পরট্যান্ট সেক্টর এটি? আর সেই সেক্টরকে পাখির চোখ করে একটা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অ্যারেঞ্জ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আর তাছাড়া আনরগানাইজড এই সেক্টরকে আরও বুস্ট করতে প্রয়োজন নিউ জেনারেশনের এনগেযমেন্ট। সেক্ষেত্রে এই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স যে একটা দুর্দান্ত এবং প্রশংসনীয় পদক্ষেপ- তা বলাই যায়।
দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।