Daily

উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা, আগামী জানুয়ারি থেকেই বাড়ছে জিএসটি। বছরের শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার হোসিয়ারি, নিটওয়ার, টেক্সটাইল ট্রেডার ও গারমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স সংস্থাগুলি এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতি পেশ করে।
করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি এখনও আগের পর্যায়ে ফিরে আসেনি। আর এর মধ্যেই জিএসটি বাড়ানো হলে ক্রেতা তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেনই, একইসঙ্গে উত্পাদন শৃঙ্খলের উপর এর গভীর প্রভাব পড়বে। জামাকাপড় তৈরির শিল্প প্রধানত খুচরো বিক্রির ওপরে নির্ভরশীল। আর করোনা পরিস্থিতিতে সবার আগে ঝাপ বন্ধ হয় জামাকাপড়ের দোকানেরই। অন্যদিকে, দেশীয় হোসিয়ারি ও গারমেন্ট ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসায়িক প্রসারের পথে চিনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ। ওই শিল্পে বিপুল পরিমাণ ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রয়োজন হয়। মহামারীতে পকেটে টান পড়ায় ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন অনেকেই। এর ওপর যদি জিএসটি-র হার পাঁচ শতাংশ বাড়ানো হয়, তাহলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলির অবস্থা ভয়ানক হবে।
অতিমারীর জেরে দেশের হোসিয়ারি নিটওয়ার ও গারমেন্ট কারখানাগুলির ১৮ থেকে ২০ শতাংশ শাটার ডাউন হয়ে গিয়েছে। যেই গারমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি কর্মী নিয়োগ হয়, সেখানেই ২০% কমেছে নিয়োগ। এরপরেও যদি শিল্পের উপর আরও চাপ বাড়ে, তাহলে তো মুনাফার অবস্থা দেওয়ালে পিঠ ঠেকার মত হবে। করের হার ৭% বাড়ানো হলে অন্ততপক্ষে ২০ লক্ষ মানুষ কাজ হারাবেন। বিবৃতি বলছে, এই মুহূর্তে সবার পকেটেই চাপ বেড়েছে যথেষ্ট। তাই জিএসটি বৃদ্ধি না করে সরকার ও শিল্পমহলের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটানো।
ব্যুরো রিপোর্ট