Story
অতিবৃষ্টির কারণে জলযন্ত্রণার শিকার হয়েছিলেন দক্ষিণবঙ্গের বহু মানুষ। আর সবচেয়ে বেশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন চাষিরা। জমির পর জমি জলের তলায় ডুবে যাওয়ায় নষ্ট হয়ে যায় জমির ফসল। অথৈ জলে পড়ে কৃষকদের ভবিষ্যৎ। একদিকে যখন মাথার উপর বাড়তে থাকে দুর্ভোগের বোঝা তখন অন্যদিকে কলম পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে রীতিমত লাভের মুখ দেখছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ ব্লকের দাসপাড়া গ্রামের কৃষক প্রণব কুমার দত্ত। বনগাঁ কৃষি দফতরের সহায়তায়।
এক বিঘা জমিতে খারিফ মরসুমে ধান চাষ করেছিলেন কৃষক প্রণব কুমার দত্ত। এরপর ধানের জমিতে জল থাকায় কিভাবে পরবর্তী ফসল ফলানো যায় তা রীতিমত চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল প্রণববাবুকে। অবশেষে আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি দফতরের পরামর্শ মেনে কলম পদ্ধতিতে শুরু করেন লাউ চাষ। ফলন হচ্ছে ব্যপক। বিক্রি করে দৈনিক প্রায় হাজার টাকা রোজগারও করছেন তিনি।
কলম চাষ একজন কৃষকের জন্য যথেষ্ট লাভজনক। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে কৃষকের খরচ অনেকটাই কমে যায়। বাড়তে থাকে লাভের অঙ্ক। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানালেন বনগাঁ ব্লকের টেকনোলজি ম্যানেজার অয়নদীপ বিশ্বাস।
এই পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য কৃষকের লাভের অঙ্ক বেড়ে যায় প্রায় ২৫%। তাই কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে দশটি প্রদর্শনী ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। উৎসাহিত করা হচ্ছে কৃষকদের।
কৃষকদের আর্থিক উন্নতি স্বচক্ষে দেখে খুশি গোপালনগর পঞ্চায়েতের দাসপাড়া গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা ইলা বিশ্বাস। বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরায় ধরা পড়ল কৃষকদের আর্থিক ভিত মজবুত হওয়ার কথা।
কৃষিকাজ দেশের আর্থিক ভবিষ্যৎকে মজবুত করে। মজবুত হয় কৃষি অর্থনীতি। অতিবৃষ্টির কারণে কৃষকদের আর্থিক ভিত স্বাভাবিকভাবেই টালমাটাল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু কৃষি দফতরের সহায়তায় কেটে গেছে সেই দূরাবস্থা। কলম প্রক্রিয়ায় চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন অনেকটা বেশি। সেই নজির তৈরি করলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ ব্লকের দাসপাড়া গ্রামের কৃষক প্রণব কুমার দত্ত।
দেবস্মিতা মণ্ডল
উত্তর ২৪ পরগনা