Daily
গত বছরের মতো এবছরও রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর্থিক সাহায্য দেওয়ায় রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে অর্থনীতিবিদদের একাংশ আবার সমর্থনও করছেন।
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ মিলিয়ে বাজারে যখন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঠিক তখনই গতবছর সংকট নেমে এসেছিল বাংলার বৃহত্তম উৎসব দুর্গাপুজোয়। একদিকে লকডাউনে যখন মানুষ গৃহবন্দী তখন অন্যদিকে বহু মানুষের কাজ চলে গিয়েছিল এই সময়। এই পরিস্থিতিতে উৎসব সম্পন্ন করতে আসরে নামে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, বাংলার এই উৎসবকে ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। কাজেই বাংলায় উৎসব না হওয়ার অর্থ বাংলার বহু মানুষের রুটিরুজিতে টান।
করোনার গ্রাস থেকে বাংলা তথা ভারতের অর্থনীতিকে বের করে আনতে হলে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ ছিল মানুষের হাতে অবিলম্বে নগদের জোগানের ব্যবস্থা করা। কেন্দ্রীয় সরকার সেই পরামর্শ না শুনলেও রাজ্য সরকার বাংলার ক্লাবগুলোকে সেই অর্থসাহায্য দিয়ে প্রকারান্তরে মানুষের হাতেই নগদের যোগাযোগ সুনিশ্চিত করে।
বাংলার সর্ববৃহৎ উৎসবকে কেন্দ্র করে জড়িয়ে আছে লক্ষ লক্ষ মানুষের সারা বছরের রুটিরুজি। মৃৎশিল্প থেকে আলোকসজ্জা। ডেকরেশন থেকে থিমের পুজো। থিমের পুজোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে রাজ্যের বিভিন্ন অংশের বাজারগুলি। তাই ক্লাবগুলোর হাতে অর্থ আসলে সেই অর্থ শেষ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায় রাজ্যের বাজারগুলিতে। আর বাজারে চাহিদা তৈরি হলে তার সুফল চলে যায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে।
বাংলার ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিককালে গবেষণা চালায় ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এ রাজ্যের আইআইটি খড়গপুরের অধ্যাপকরা। সেই গবেষণায় উঠে আসলো চাঞ্চল্যকর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।
যুগ-যুগান্তর ধরে পুজো বা উৎসবকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর সব দেশেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে। কিন্তু করোনাকালীন সমযে যেভাবে ঝিমিয়ে থাকা বাজারগুলিতে সরকারি অর্থ সাহায্য প্রাণ সঞ্চার করেছিল তাকেই আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ মোক্ষম দাওয়াই বলে চিহ্নিত করেছেন।
ব্যুরো রিপোর্ট
বিজনেস প্রাইম নিউজ