Trending
![business_prime_news_gold_fish_car](https://businessprimenews.com/wp-content/uploads/2022/01/gold_fish_car_web.jpg)
একবার ভাবুন! আপনার চোখের সামনে বড়ো একটা ঘরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে গেলো একটা গাড়ি। নাহ। রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি নয়। তাহলে গাড়ির ড্রাইভার কে? কে চালাচ্ছে সেই গাড়ি? এক্ষেত্রে গাড়ির ড্রাইভার একটি ছোট্ট গোল্ডফিশ। রিল নয়। রিয়েল লাইফের কথা বলছি। বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণে রীতিমত পাকা ড্রাইভার হয়ে উঠেছে এই গোল্ডফিশটি।
ইজরায়েলের নেগেভের বেন-গুরিও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক এই এক্সপেরিমেন্টটি করে দেখেন। আসলে গোল্ডফিশের নেভিগেশন পাওয়ার সর্বত্রই একইভাবে কাজ করে, নাকি শুধুমাত্র জলের নিচেই তা সচল? সেই জন্যেই এই বিশেষ পরীক্ষাটি করেন বিজ্ঞানীরা। আর বলার অপেক্ষা রাখে না, যে তাঁরা আসলেই সফল হয়েছেন। একটা নয়। ছয়- ছয়টা গোল্ডফিশের উপর এই পরীক্ষা করা হয়েছে। আর প্রতিবারই রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
গবেষকরা একটা ফিশ অপারেটিভ ভেহিকেল তৈরি করেন। যেখানে ব্যাবহার করা হয় এক বিশেষ ধরনের সফ্টওয়্যার এবং একটি মোশন-সেন্সিং ক্যামেরা। গাড়িটি দেখতে কেমন ছিল? জলের একটি ট্যাংক। যার নিচে লাগানো চারটি চাকা। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা দেখতে চেয়েছিলেন মাছ কেবল মাত্রই জলের তলে নিঃশ্বাস নিতে পারে নাকি পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজন ঘটাতে সক্ষম। আর সেই মোতাবেক ক্যামেরার সাহায্যে চালক মাছের গতিবিধি ট্র্যাক করে চারটি মোটরচালিত চাকার সাহায্যে এফওভি চালানো হয়।
বিজ্ঞানীরা ওই মাছগুলিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন যাতে খাবারের জন্য সেটি বিভিন্ন লক্ষ্যের দিকে চার চাকা গাড়িটিকে নিয়ে যেতে পারে। এমনকি কাজটিতে সাফল্য আনতে কঠিন অসুবিধেও তৈরি করেছিলেন তারা। কিন্তু এতকিছুর পরেও গোল্ডফিশ যে একজন দক্ষ এবং নিপুণ গাড়ি চালক, সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। সূচনা বিন্দু পরিবর্তন করেও তারা লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছে সঠিকভাবে।
এই পরীক্ষা প্রমাণ করে দেয় যে, যেই পরিবেশে তারা বিবর্তিত হয়েছে তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশে গোল্ডফিশের মধ্যেও একটি জটিল কাজ শেখার জ্ঞানীয় ক্ষমতা রয়েছে। আর এই চ্যালেঞ্জিং অথচ ইন্টারেস্টিং একটা কাজে সাফল্য আসায় রীতিমত খুশি ওই ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা।
ব্যুরো রিপোর্ট