Market
স্বর্ণশিল্পে এখনো রয়েছে অনিশ্চয়তা। কাটেনি দুশ্চিন্তার মেঘ। কমতে পারে সোনার চাহিদা এবং সেটা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। তার অন্যতম প্রধান কারণ অতিমারির ধাক্কা। এমনটাই মনে করছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল। তাদের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভারতে স্বর্ণশিল্প ধাক্কা খেতে পারে আগের থেকে অনেকটাই বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই বাণিজ্য মহলে প্রশ্ন উঠছে, একদিকে যখন অতিমারির ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি তখন স্বর্ণশিল্পে এই ধোঁয়াশা কেন? মনে করা হচ্ছে, অতিমারিতে একদিকে কমছে পারিবারিক আয়। কমছে কৃষি অর্থনীতি। কোভিড সংক্রান্ত বিধি নিষেধের কারণে সেই বিক্রিতে অনেকটাই ভাটা নেমেছে। তবে আর্থিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা তেমনভাবে না এলে ক্রমশই ফিরতে থাকবে আর্থিক কর্মকাণ্ড। আর যে কারণে আগামী বছর সোনার বিক্রিতে আবারো লাগতে পারে জোয়ার।
তবে সোনার ব্যবসাকে এই পরিস্থিতিতে আরো বেশি চাঙ্গা করতে পারে যদি হলমার্ক করার নিয়মে কোনরকম ত্রুটি না থাকে। ক্রেতার যদি ডিজিটাল মাধ্যমে সোনা কিনতে কোন অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয়। একদিকে যখন সোনার মূল্যবৃদ্ধি কার্যত আশঙ্কার ফেলে দিয়েছিল তখন উল্কার গতিতে সোনার দাম কমে আসা নিঃসন্দেহে ব্যবসায়ীদের মনে আশা জুগিয়েছিল। সোনা ব্যবসায়ীদের কাছে উৎসব মরশুমে যা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। তবে সোনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবার পিছু আয় বৃদ্ধি না হলে সোনার চাহিদা কখনই আগের অবস্থায় ফিরবে না। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ আবারো স্বর্ণশিল্পে জোরালো কামড় বসাবে নাতো? সেই আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে স্বর্ণব্যবসায়ীদের।
ব্যুরো রিপোর্ট