Trending
ক্যানিং মৎস্য আড়তে ঘটে গেল এক অস্বাভাবিক ঘটনা। ক্যানিং মৎস্য আড়তের ইতিহাসে এই প্রথম উঠল জায়ান্ট ফিশ। আর জায়েন্ট ফিশে ভাগ্য ফিরল এলাকার মৎস্যচাষিদের। বহু মানুষই সুন্দরবনে আগে জায়ান্ট ফিশের কথা শুনেছেন। কেউ কেউ চাক্ষুষ করেওছেন। কিন্তু এই পাঁচ মৎস্যজীবী যেভাবে মাছ ধরতে বেরিয়ে একেবারে জাল বন্দি করলেন জায়ান্ট তেলিয়া ভোলা সেই তেলিয়া ভোলার বাঁধনছাড়া দামে লাভবান হলেন এলাকার পাঁচ মৎস্যজীবী।
ওজন ৭৮ কেজি ৪০০ গ্রাম। এতো বড় মাছ মৎস্যজীবীদের জালে উঠতেই তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন ফিরতে চলেছে তাঁদের ভাগ্য। আর হলোও তাই। সন্ধ্যাবেলা ক্যানিং আড়তে মাছ নিয়ে আসতেই কার্যত ভিড় জমে গেল সেখানে। কেউ শুয়ে পড়লেন মাছের পাশে। তো কেউ মাছের ছবি তুলতে শুরু করলেন নিজের মোবাইলে।
সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার সোনার গাঁ থেকে পাঁচ মৎস্যজীবী গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। কপুরা নদীর কাছে তেরো বাঁকির খালে হঠাৎ তাঁরা বুঝতে পারেন, জালে ধরা পড়েছে বিরাট কিছু।
ক্যানিংয়ের আড়তে আগে এত বড় মাছ আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই ৭৮ কেজির তেলিয়া ভোলা মাছটি ধরা পড়ায় কার্যত বাজারের ব্যস্ততা বেড়ে যায় অনেকটা।
৭ ফুট লম্বা এই তেলিয়া ভোলা বিক্রির জন্য অবশেষে হয় অকশন। দাম ওঠে ৩৭ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। মাছটি কিনে নিয়েছে কলকাতার কেএমপি। মাছটির বিক্রয়মূল্য নিঃসন্দেহে মৎস্যজীবীদের মুখের হাসি চওড়া করেছে। আগামী দিনগুলো কিভাবে সাজাবেন সেই বিষয়ে পরিকল্পনাও শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
ভাগ্য কখন কার ফেরে কেই বা পারে বলতে? প্রতিদিনের করে যাওয়া কাজে যদি হঠাৎ করেই আশ্চর্য কিছু ঘটে যায় তখন ভগবানকেই জানাতে হয় ধন্যবাদ। এই পাঁচ মৎস্যজীবীর ক্ষেত্রেও যেন তাই হল। তাঁরাও তো কেউ ভাবতে পারেননি যে একটি মাছ তাঁদের ভাগ্যের চাকা অনেকটা জোরে ঘুরিয়ে দিতে চলেছে। ৭৮ কেজির তেলিয়া ভোলা যে সেটাই করে দেখাল।
দীপান্বিতা দাস