Daily

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনদের জায়গা নিলেন বাবা রামদেব এবং যোগী আদিত্যনাথ।হেঁয়ালি নয়, এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের পর্ষদের পাঠ্যপুস্তকের সূচীতে। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক সিলেবাসে রবীন্দ্রনাথও সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জায়গায় স্থান পেলেন বাবা রামদেব ও যোগী আদিত্যনাথ ।
এমনকী বাদ পড়ার তালিকায় রয়েছেন আরোও অনেক বিখ্যাত লেখক, কবিরা । যেমন আর,কে নারায়ণন, রাজ আনন্দ, বিদেশের পিবি শেলি এবং জন মিলটনের কবিতাও বাদ পড়েছে সিলেবাস থেকে।
রাজ্য সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী চৌধুরি চরণ সিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যোগগুরু বাবা রামদেবের বই ‘যোগ চিকিৎসা রহস্য’ এবং যোগী আদিত্যনাথের ‘হঠযোগ স্বরূপ এবং সাধনা’। এই বই দুটি পড়ানো হচ্ছে দর্শন বিভাগে। রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পটির ইংরেজি অনুবাদ ‘দ্য হোমকামিং’ ছিল দশম শ্রেণিতে। দ্বাদশ শ্রেণিতে ছিল রাধাকৃষ্ণনের ‘দ্য উইমেনস এডুকেশন’। দুটোই বাদ দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও বাদ দেওয়া হয়েছে আরকে নারায়ণনের ‘অ্যান অ্যাস্ট্রোলজারস ডে’ এবং মুলক রাজ আনন্দের ‘দ্য লস্ট চাইল্ড’। বাতিলের খাতায় সরোজিনী নাইডু, রাজা গোপালাচারীর মতো ব্যক্তিত্বদের লেখাও। দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসে নেই পিবি শেলি, জন মিল্টনের মতো মহান কবিদের কবিতা। রয়েছেন বাবা রামদেব এবং যোগী আদিত্যনাথ।
মুসলিম ঐতিহ্যসম্পন্ন স্থানের নাম বদলের ক্ষেত্রেও ইতিমধ্যে যোগী সরকারকে ঘিরে আলোচনা তীব্র হয়েছিল । এবার সিলেবাসের গেরুয়াকরণে পূর্ণ মনোনিবেশ করেছে তাঁর প্রশাসন বলে অভিযোগ রাজনৈতিক মহলের । আর তাতে ছাড়া হচ্ছে না দিকপাল মনীষী, লেখকদের। দেশে এখন নয়া দার্শনিক ও লেখকের আবির্ভাব হয়েছে। রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুলের সিলেবাসে রবীন্দ্রনাথের লেখা বাদ দিয়ে কোন লেখকের লেখা অন্তর্ভুক্ত হবে, তা সরকারের নিকট অনুমোদন পাওয়ার পরই এই পরিবর্তন। আর কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন সিলেবাস অনলাইনে আপলোড করা হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদের এক বরিষ্ঠ কর্মকর্তা।
ব্যুরো রিপোর্ট।