Market

করোনা আবহেও গ্রহরত্ন এবং গয়না রফতানিতে রেকর্ড ভারতের। ২০২১ এর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যায়ে রফতানি ৫.৭৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯.০৮ বিলিয়ন ডলার। আমেরিকা, হংকং এবং থাইল্যান্ড ভারতের এই রফতানি বাণিজ্যে জ্বালানির কাজ করেছে। এমনটাই জানালো দ্য জেম অ্যান্ড এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল।
ছুটি এবং উৎসবের মরশুমে ভারত এই তিনটি দেশ ছাড়াও ইজরায়েলে ব্যপক পরিমাণ গ্রহরত্ন এবং গয়না রফতানি করেছে। বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী, ২০২২ অর্থবর্ষের শেষ পর্যন্ত যদি এই চাহিদা বজায় থাকে তাহলে ভারত রফতানির অঙ্ক ৪১.৬৭ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে পারে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রয়োজন ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি। আর এটাই মোদী ক্যাবিনেটের লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক বাজারে জেমস এবং জুয়েলারি শিল্পে ভারত নিজের ছাপ রাখতে পেরেছে। আর যে কারণে এই শিল্পের কদর প্রতিদিনই বাড়ছে গোটা বিশ্বে। তারই জলজ্যান্ত প্রমাণ জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি সেক্টর।
এদিকে সোনা আমদানিতেও ব্যপক লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে ভারত। জানা গিয়েছে, গত বছর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত সোনা আমদানি করতে খরচ করেছে ৩৮ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালের থেকে দ্বিগুণ। এমনকি রুপো আমদানিতেও ভারতের খরচ ২ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। সোনা ব্যবহারের দিক থেকে ভারতের স্থান চিনের পরেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই আতঙ্কের পরিবেশেও যে ভারতের ব্যবসা বাণিজ্যের পথগুলি এখনো মসৃণ রয়েছে সেটাই প্রমাণ করে দেখিয়ে দিল দেশের জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি শিল্প।
ব্যুরো রিপোর্ট