Trending
কারচুপি করে বাড়ানো হচ্ছে শেয়ারের দাম!
দেদার চলছে কর ফাঁকি!
করা হচ্ছে বেআইনি আর্থিক লেনদেনও!
বাঘ বন্দী খেলা! নেপথ্যে হিন্ডেনবর্গ রিসার্চ। কাঠগড়ায় আদানি। শিল্পপতি এখন ঘুষখোর? এক লহমায় বদলে গেল আদানীর তকমা! কেন্দ্রের কী স্ট্যান্ড? সত্যিই গ্রেফতার হবেন আদানি? কতটা প্রভাব পড়বে ভারতীয় অর্থনীতিতে? জানব আজকের প্রতিবেদনে।
নমস্কার! আপনারা দেখছেন বিজনেস প্রাইম নিউজ। সঙ্গে আমি পৌলমী। শুরু করছি আজকের প্রতিবেদন (থাম্বনেইল এর লেখা গ্রাফিক্স) আদানির আরও এক কাঁদানি!
কথায় আছে, বিনা খিলায়ে পিলায়ে কুচ কাম নেহি হোতা। বিজনেসম্যানরা এসব জানেন। রাজনীতি বলুন বা অর্থনীতি, সব নীতির একটাই নীতি! থোরা খিলা দো, থোড়া পিলা দো! কাম হো জায়েগা! সহজভাবে বলতে গেলে, ‘সেটিং’। আদানিও নাকি ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। আমেরিকার আদালতে। কোথা থেকে সেই টাকা তুলেছেন? খোদ আমেরিকা থেকেই। সুতরাং আমেরিকার কাঠগড়ায় আদানি! প্রশ্ন হচ্ছে, এবারের লড়াইটা সত্যি সত্যিই সহজ হবে তো? না, মানে যেভাবে ভারতীয় শিল্পপতির পিছনে আদাজল খেয়ে নেমেছে হিন্দেনবার্গ! সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে!
ভীও: কয়েকটি রাজ্যের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভারতের ‘সরকারি আধিকারিকদের’, যাঁর মধ্যে নেতা-মন্ত্রীরাও রয়েছেন ২৬.৫ কোটি ডলার মানে প্রায় ২২৩৭ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি আদানির বিরুদ্ধে। আমেরিকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইতিমধ্যেই গৌতম এবং সাগরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
আপনারা প্রশ্ন করতেই পারেন, আদানি কাঠগড়ায় তো সাধারণ মানুষের কী যায় আসে। কাঠগড়ায় আদানি উঠতেই পারেন! আদানির জায়গায় যেকোনো শিল্পপতি থাকতেই পারেন। কিন্তু সেটা যদি দেশের অর্থনীতিতে অশনি সংকেত আনে, তাহলে সাধারণ মানুষের যায় আসে! কেন? তাহলে একটা ব্রিফ দেওয়া প্রয়োজন।
ভিও: ১৩টা বন্দর, সাতটা বিমানবন্দর সহ ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্টের ব্যবসা যিনি পরিচালনা করেন, তাকে নিয়ে চর্চা হলে ভারতের ইকোনমিতে একটা ভালো রকম প্রভাব পড়বে, সেটা স্বাভাবিক। হয়েছেও তেমনটাই। আদানি অধীনস্থ সংস্থাগুলো ৪৫ হাজারের বেশি লোককে নিয়োগ করলেও তার ব্যবসা কিন্তু দেশব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে।
মোট ৬ টা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করে আদানি গ্রুপ। অর্থাৎ ভারতের এনার্জি সেক্টরের পাক্কা খিলাড়ি তিনি। একইসঙ্গে, ৪০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনও পরিচালনা করে আদানি গোষ্ঠী। আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন স্টক তাই ইনভেস্টরদের প্রায়োরিটি লিস্টে থাকেই।
A: বর্তমানে শেয়ার বাজারে লগ্নি করে মধ্যবিত্তদের একটি বড় অংশ। আর সেই শেয়ার মার্কেটে এখন টালমাটাল অবস্থা। সে কথা মাথায় রেখে বাজার যাতে মসৃণ ভাবে চলে এবং লগ্নিকারীরা যাতে সুরক্ষিত থাকেন সেই বিষয়টা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শীর্ষ আদালত সেই নির্দেশই দিয়েছে। শীর্ষ আদালত জানতে চায়, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর কেন শেয়ার বাজারে ধস নামল? ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য কী ধরনের কঠোর নিয়ম চালু করা যেতে পারে?
এ: তবে কি জানেন তো? এই ধরণের অভিযোগের পিছনে, অনেক সময় গভীর ষড়যন্ত্র ও কাজ করে। আদানি দেশ তথা বিদেশের শিল্পপতিদের মধ্য়েরেকজন আগ্রেসিভ প্লেয়ার। সুতরাং, সেক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর সফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে, এর ফলে ৩,৪০০ কোটি ডলার বাজার মূল্য খুইয়েছে আদানি গোষ্ঠীর অধীনস্থ সংস্থাগুলো। যার প্রভাব সরাসরি পড়েছে ইনভেস্তরদের মধ্যে।
Anchor: প্রশ্ন, কেন মামলা করা হলো? কারণ, ‘আদানি গ্রিন এনার্জি’ আমেরিকার শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে। সে দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করলে তারা আমেরিকার আইন মেনে চলতে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে তারা ঘুষের টাকা আমেরিকার বাজার থেকে সংগ্রহ করেছে বলে অভিযোগ। যা পুরোপুরি বেআইনি। যদিও, আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছে, এই অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন।
আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত জারি। মজার বিষয় হচ্ছে, আমরা সকলেই জানি, আদানি হচ্ছেন কেন্দ্র ঘনিষ্ঠ একজন ব্যক্তিত্ব। আদানি এবং মোদীর সম্পর্ক যে কতটা মাখোমাখো, সেটাও সকলে জানে। কিন্তু এই অভিযোগের তদন্তে আদালতকে যে কেন্দ্র সর্বোতভাবে সাহায্য করবে, সেটা তারা স্পষ্ট করেছে।
তবে আপনাদের জানিয়ে রাখা প্রয়োজন যে, এর ফলে তিন থেকে দশ। দশ থেকে কুড়ি। তারপর একুশ। বিশ্বের অন্যতম রিচেস্ট ম্যানের একি অবস্থা কিন্তু বেশ সংকটে। গোদি মিডিয়ার কর্ণধারের গদি এখন টালমাটাল। প্রভাব পড়তে পারে, তার ১৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের বিশাল বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যে। সেই প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে পারে, দেশে-বিদেশে বিস্তৃত তার উচ্চাকাঙ্ক্ষার উপরেও।
সুতরাং আপনারা যারা বিনিয়োগকারী আছেন, তারা খুব সাবধানে আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শ নিয়ে, তবেই বিনিয়োগ করবেন। আর আদানিকে কতটা নাকানি চবানি খাওয়াতে পারে হিনডেনবার্গ, সেই আপডেট পেতে অবশ্যই ফলো করুন, সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল বিজনেস প্রাইম নিউজ। আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে অবশ্যই জানান আমাদের কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে থাকুন দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।