Daily
হাইকোর্টের কড়া নজরদারিতে শুরু হয়ে গেল ২০২২ সালের গঙ্গাসাগর মেলা। আগে সাগর সঙ্গমে হোগলা পাতার সারি সারি ঘর দেখা গেলেও এখন তার জায়গায় দেখা যাচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়া। অন্তত গতকালের ঝাঁ-চকচকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর অনায়াসেই বলা যায় এখন গঙ্গাসাগর মেলাও এ রাজ্যের একটা অন্যতম বড় ইভেন্ট।
মেলা ১৭ তারিখ পর্যন্ত চললেও শাহী স্নান কিন্তু হবে ১৪ তারিখ পর্যন্ত। তবে অধিকাংশ সাধু-সন্তরা মনে করছেন বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছরে মেলায় লোকের সমাগম অনেকটাই কম হবে। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও বারবার মন্দির চত্বর, স্নানের ঘাট সব জায়গায় স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
কচুবেড়িয়া, চেমাগুড়ি, লট নম্বর এইটের বিভিন্ন জায়গায় এমনকি মেলাপ্রাঙ্গণে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পুণ্যার্থীরা একটু সন্দেহ হলেই এখানে এসে নিখরচায় পরীক্ষা করিয়ে নিয়েছেন।
তবে নাগা সাধুদের অবস্থা নিয়ে একটু হলেও বেসুরো সুর শোনালেন এই প্রবীণ সন্ন্যাসী।
তবে প্রাণের ভয়ে অনেকে আছে বলেই মনে করেন নাগা সম্প্রদায়ের এই প্রবীণ সন্ন্যাসী রমেশ গিরি। মানুষ আসছেন ভিড় করছেন। তবে আশার কথা, অনেকের মুখেই মাস্ক রয়েছে। রয়েছে স্যানিটাইজারও।
হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক এ বছরই প্রথম মেলায় প্রবেশ করতে গেলে হয় দেখাতে হচ্ছে ভ্যাকসিনের ডবল ডোজের সার্টিফিকেট কিংবা করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট।
শাহী স্নানের আগেই কমন্ডলু করে পবিত্র গঙ্গার জল সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মন্দিরগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতি সাগরে উদ্বেগজনক না হলেও মকর সংক্রান্তির দিন পূণ্যার্থীদের ভিড় কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
দীপান্বিতা দাস, সাগর