Trending
আজ থেকে কয়েক বছর পিছিয়ে যাওয়া যাক। সেই সময় কম্পিউটার বা মোবাইল গেম খেলে যে মোটা টাকা আয় করা সম্ভব, সেটা কি কোনদিন কেউ ভেবেছিল? মনে হয় না। তখন গেমিং মানে ছিল নিখাদ নেশার বস্তু। ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল বা কম্পিউটারের সামনে বসে খেলতে খেলতে কখন যেন পেরিয়ে যেত সময়। কিন্তু এখন পাল্টে গিয়েছে আয়ের ধরণ। আজকের ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় খুলে গেছে রোজগারের হাজারো পথ। তাই যারা একটা সময় মনে করতেন, ইশ যদি এই গেম খেলেই মোটা টাকা আয় করা যেত…সত্যি বলতে কী, বিষয়টা যে একেবারেই মিথ্যে নয়। কারণ গেমিং সেক্টরকে হাতিয়ার করে তাকেই কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন বহু ইন্ডিয়ান গেমার। এটাই হতে চলেছে লুক্রেটিভ কেরিয়ার। কিরকম, আজকের প্রতিবেদনে সেটা নিয়েই কথা বলা যাক।
ফিনানশিয়াল এক্সপার্টের একটি তথ্য বলছে, ভারতে যত গেমার রয়েছেন তাদের ৮৩% গেমার শুধু গেম খেলাকেই উপার্জনের প্রাইমারি বা সেকেন্ডারি সোর্স হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ৩৯% গেমার গেমিং সেক্টরকে মুখ্য আয়ের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আর বাকি ৪৪ শতাংশ গেমিং সেক্টরকে সেকেন্ডারি আয়ের পথ মানছেন। অর্থাৎ প্রোফেশনাল গেমারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বৈ কমছে না। সত্যি বলতে কী, গেমিং সেক্টরে প্রফেশনাল গেমারদের জন্য অনেকগুলো পথ খোলা রয়েছে। তার মধ্যে গেমার কন্ট্রাক্ট ৫১%, স্পনসরশীপ থেকে আসছে ১৪%, স্ট্রিমিং থেকে আসছে ৫%, কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে আসছে ৯ শতাংশ এবং কোচিং সেক্টর থেকে আসছে ২১ শতাংশ। এই তথ্যটি প্রকাশ করেছে ইগেমার্স অ্যান্ড প্লেয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। আচ্ছা এখানেই বলে রাখি একটা বিষয়। গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে কিন্তু মাইক্রো-ইনফ্লুয়েনসরদের সংখ্যাও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গেমিং সেক্টরে মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সরদের কন্ট্রিবিউশন কিরকম?
অনলাইন গেমিংকে প্রফেশন করলে যে যে স্কিলগুলোয় মনোযোগ দিতে হবে সেগুলো হল অ্যানালিটিকাল স্কিল, কনসেন্ট্রেশন, ক্রিয়েভিটি। ইগেমার্স অ্যান্ড প্লেয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মত বলছে, অ্যানালিটিকাল স্কিল ৯৭ শতাংশ, কনসেন্ট্রেশন ৮৭ শতাংশ আর ক্রিয়েটিভিটির ক্ষেত্রে ৬৯%। একটি তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, কঙ্কনি, কোচি, হরিয়ানভির মতো একাধিক ভাষায় গেমারদের যেভাবে কাজ বাড়ছে, তাতে ১০ বিলিয়ন ইমপ্রেশন তৈরি হয়েছে, সবমিলিয়ে গেমিং কনটেন্ট সাপোর্ট দিয়েছে ৭ লক্ষ ঘন্টা।
গেমিং আর অপশন নয়। গেমিং এখন কার্যত ‘মাস্ট’ হতে চলেছে। কেরিয়ার তৈরি করার জন্য গেমিং সেক্টর দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার একটাই কারণ ডিজিটাল ইন্ডিয়া। যত ডিজিটাইজেশনের প্রভাব চওড়া হবে ততই গেমিং সেক্টরের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে। মূলত পোকার, ফ্যান্টাসি স্পোর্ট, অ্যাকশন গেমের চাহিদা প্রতিদিন বাড়ছে। তাই গেমিং সেক্টর থেকে আয়ের পথ আরও দিনে দিনে চওড়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে গেমারদের জন্য আরও আশা-ভরসার জায়গা তৈরি করতে চলেছে ডিজিটাল ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে লাইক করুন, শেয়ার করুন। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ