Daily
এ যেন এক রূপকথার রাজ্য। দূরে পাহাড়ের অপূর্ব দৃশ্য, পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে সরু ছিপছিপে ডুলুং নদী, তারই মাঝে জঙ্গলে ঘেরা গ্রাম, বড়এনাটা। শীতের মরশুমে বিশেষ জল না থাকায় ডুলুং নদীতেই লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে আপনমনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রামের কচিকাঁচারা। গ্রামের ঠিক পাশেই দিগন্ত বিস্তৃত গাঁদা ফুলের বাগান। হলুদ, গেরুয়া রঙের সে এক অপূর্ব মিশেল। স্থানিয়রা অবশ্য এই জায়গাটিকে ফুলের উপত্যকাই বলেন। তবে কি জানেন তো? এই বড়এনাটা গ্রাম থেকে ফুলের উপত্যকা হয়ে ওঠাটা কিন্তু একটা ম্যাজিক ছিল। বড়এনাটা গ্রাম থেকে ফুলের উপত্যকা হয়ে ওঠাটা কীভাবে? সেটা জানতেই আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম এই গ্রামে।
ঝাড়গ্রাম জেলার জাম্বনি ব্লকের ছোট্ট গ্রাম বড়এনাটা। সাধারণ মানুষের কাছে এখনও খানিক অপরিচিত নামই বটে। পাহাড়, নদী আর জঙ্গলে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ছোট্ট একটা গ্রাম। যেখানে রুজিরুটি বলতে চাষআবাদ। এখানকার কৃষকরা মূলত ধান চাষ করতেন। কিন্তু ধান চাষ করতে প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে জল। আর এই গ্রামে জলের জোগান দিতে একমাত্র ভরসা ডুলুং নদী। যে বর্ষাকালে ভয়ঙ্কর। আর সারাবছর ওই গোড়ালি ভেজানো জল। অতয়েব জলের অভাবে জমি হল অনাবাদী। বন্ধ হল ধানচাষ। কিন্তু এবার? এই তিন-চার হাজার মানুষের পেটের ভাত জোগাড় হবে কীভাবে?
এ যেন এক রূপকথার রাজ্য। দূরে পাহাড়ের অপূর্ব দৃশ্য, পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে সরু ছিপছিপে ডুলুং নদী, তারই মাঝে জঙ্গলে ঘেরা গ্রাম, বড়এনাটা। শীতের মরশুমে বিশেষ জল না থাকায় ডুলুং নদীতেই লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে আপনমনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রামের কচিকাঁচারা। গ্রামের ঠিক পাশেই দিগন্ত বিস্তৃত গাঁদা ফুলের বাগান। হলুদ, গেরুয়া রঙের সে এক অপূর্ব মিশেল। স্থানিয়রা অবশ্য এই জায়গাটিকে ফুলের উপত্যকাই বলেন। তবে কি জানেন তো? এই বড়এনাটা গ্রাম থেকে ফুলের উপত্যকা হয়ে ওঠাটা কিন্তু একটা ম্যাজিক ছিল। বড়এনাটা গ্রাম থেকে ফুলের উপত্যকা হয়ে ওঠাটা কীভাবে? সেটা জানতেই আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম এই গ্রামে।
ঝাড়গ্রাম জেলার জাম্বনি ব্লকের ছোট্ট গ্রাম বড়এনাটা। সাধারণ মানুষের কাছে এখনও খানিক অপরিচিত নামই বটে। পাহাড়, নদী আর জঙ্গলে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ছোট্ট একটা গ্রাম। যেখানে রুজিরুটি বলতে চাষআবাদ। এখানকার কৃষকরা মূলত ধান চাষ করতেন। কিন্তু ধান চাষ করতে প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে জল। আর এই গ্রামে জলের জোগান দিতে একমাত্র ভরসা ডুলুং নদী। যে বর্ষাকালে ভয়ঙ্কর। আর সারাবছর ওই গোড়ালি ভেজানো জল। অতয়েব জলের অভাবে জমি হল অনাবাদী। বন্ধ হল ধানচাষ। কিন্তু এবার? এই তিন-চার হাজার মানুষের পেটের ভাত জোগাড় হবে কীভাবে?
সেটাই তো আসল ম্যাজিক। একদল ম্যাজিশিয়ান এসেছিলেন এই অনাবাদী জমি পর্যবেক্ষণ করতে। সুদূর পাশকুঁড়া থেকে। ম্যাজিশিয়ান আর কেউ নন, ক্ষীরাইয়ের কিছু ফুল চাষি। কৃষিক্ষেত্রের ম্যাজিশিয়ান তো তারাই। আরে যাদের জাদুতে ধু ধু বালিয়াড়িতেও ফুল ফোটে, তাদের কাছে অনাবাদী জমিতে ফুল ফোটানো তো হাতের নস্যি। আর তাদের হাতে থাকা জাদুকাঠির ছোঁয়ায় রুক্ষ সুক্ষ বড়এনাটা গ্রাম হয়ে উঠলো ফুলের স্বর্গরাজ্য। স্থানীয় কৃষকেরা আবার নতুন করে বাঁচার রসদ খুঁজে পেলেন।
জঙ্গলমহলের পাহাড়ি এলাকা। অনুর্বর পাথুরে জমি। আর সেই জমিতেও যে ফুল ফোটানো সম্ভব, সেটা এখানকার মানুষের কাছে একটা বড় বিস্ময়। একবছরে এলাকার ভৌগলিক চিত্রটাই বদলে দিয়েছেন ক্ষীরাইয়ের চাষিরা। আর শুধু ভৌগলিক চিত্র কেন, বদলেছে অর্থনৈতিক ছবিটাও। নতুন করে কাজ পাওয়ায় ভীষণ খুশি এখানকার স্থানীয় চাষিরাও।
শীতের মরশুম। পিকনিকের আমেজ। ফুলের উপত্যকা ক্ষীরাইতে তো অনেকেই যান। আর ক্ষীরাই সংলগ্ন এই নতুন ফুলের উপত্যকায় যাওয়ার কথা ভাবছেন নাকি এইবছর? শীতের সময়টায় যেন অপূর্ব মোহময়ী হয়ে ওঠে বড়এনাটা। হলুদ গেরুয়ার কার্পেট বেছানো বাগান, পাহাড়, নদী, জঙ্গল। ট্যুরিজম প্যাকেজ পুরো। ধীরে ধীরে পর্যটকের প্রবেশও ঘটছে। ফলে খুব শীঘ্রই যে পর্যটন মানচিত্রে উঠে আসবে বড়এনাটার নাম, তা বলাই যায়।
প্রসূন ব্যানার্জি
ঝাড়গ্রাম