Trending
ব্রাজিলে চলছে G-টোয়েনটি সামিট
ক্রমশ বদলাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতির কূটনৈতিক সমীকরণ
বৈদিক মন্ত্রে মোদীকে স্বাগত জানালো রিও
কিন্তু কোথায় কানাডা প্রধান জাস্টিন ট্রুডো?
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কি ক্রমশ জমি হারাচ্ছে বাংলাদেশ?
বিস্বগুরু হওয়ার পথে কতটা এগোলো ভারত?
এই নিয়েই আলোচনা করবো আজকের প্রতিবেদনে। একটা কথা শুনেছেন তো- life is an endless struggle, if stop struggling you are finished. জীবনে একটা সমস্যার অবসান হয় তো আরেকটা সমস্যা সামনে আসে। এই যেমন ধরুন ভারতের সঙ্গে সীমানা নিয়ে চিনের একটা সমস্যা ছিলো। কিন্তু রাশিয়ার মধ্যস্থায় সেই সমস্যার আপাত সমাধান হয়েছে। দুই দেশই সেনা প্রত্যহার করে নিয়েছে। আমেরিকাকে রুখতে এবার একজোট ভারত-চিন-রাশিয়া। তাই হিন্দি-চিনি ভাইভাই এই কথাটা এখনই বলা যায় কিনা বলতে পারছি না কিন্তু লাদাখ সীমানায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় সেনার অনুরধে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়েছেন চিনা সৈনিকরা। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের যে মাথাব্যাথার কারণ ছিলো সেটা আপাতত নেই।
কিন্তু অন্যদিকে যে সমস্যাগুলো ছিল না সেই গুলো সামনে আসতে শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে প্রথমেই বলতে হয় কানাডার কথা। কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব খারাপ ছিল না, কিন্তু ওই খালিস্তানি জঙ্গিদের প্রসঙ্গ সামনে আসতেই ভারত বিরোধী কথা বলতে দেখা যায় কানাডা প্রধান ট্রুডোকে। আর তার পর থেকেই ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চির ধরে।
দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ। হাসিনা আমলে ভারতের নিকট বন্ধু হয়ে উঠেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু হাসিনা দেশ ছাড়ার পর আজ সেই দেশে চলছে রাজনৈতিক অরাজকতা। বাংলাদেশের কাছে এখন বড় বন্ধু পাকিস্তান। এর অর্থ হলো ফের সীমানা সমস্যায় জর্জরিত ভারত।
আর এই সব সমস্যাকে আন্তর্জাতিক স্তরে মোকাবিলা করতে গেলে প্রয়োজন ক্ষুরধার কূটনীতি। দেশে মোদী ক্ষমতায় আসার পর যে বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের স্থান উজ্জ্বল হয়েছে তা বলতেই হয়। ভারতকে বিশ্বগুরুর মর্যাদা দিতে চাওয়া মোদী এবার কিভাবে এই কানাডা ও বাংলাদেশ কাঁটার মোকাবিলা করবেন? বিশ্ব রাজনীতিতে কি হব এই দুই দেশের ভবিষ্যৎ? এই লড়াইয়ে ভারতের পাশে কি দাঁড়াবে সংখ্যাগরিষ্ঠ G-টোয়েনটি অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো?
আপনারা সবাই জানেন, এবার ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে G-টোয়েনটি সম্মেলন।
উক্ত সম্মেলনে দেখা গেলো না জাস্টিন ট্রুডোকে। নেই মানে তিনি যে আসেন নি তা নয়, তিনি এসেছেন, বেশ কিছু বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে দেখাও করেছেন কিন্তু সেটা চোখে পড়ার মতো নয়। একইভাবে ব্রাজিলের G-টোয়েনটিতে ব্রাত্য বাংলাদেশ। যদিও বাংলাদেশ G-টোয়েনটি অন্তর্ভুক্ত দেশ নয়, তবুও গতবার বন্ধু দেশ হিসেবে ভারতের আমন্ত্রণে বিশ্বমঞ্চে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু এবার তো তিনি দেশ ছাড়া। আর নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের ভারতের বিষিয়ে যা দৃষ্টিভঙ্গি তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। ভারতকে বাদ দিয়ে তাঁরা এখন পাকিস্তানকে নিয়েই বেশি ব্যাস্ত। আর এতোটাই ব্যাস্ত যে, নিজের দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়েও তাদের মনে নানান প্রশ্ন চিহ্ন। যে দেশের উন্মত্ত শাসক বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাঙ্গে, সেই দেশ তাদের স্বাধীনতায় ভারতের অবদানের কথা কতটা মনে রাখবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
আর ঠিক এই খানেই তৈরি হচ্ছে এক নতুন কূটনৈতিক সমীকরণ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যখন বৈদিক মন্ত্রে স্বাগত জানাচ্ছে রিও, তখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মহঃ ইউনূসকে সতর্কবার্তা পাঠাচ্ছে আমেরিকা।
আর মহঃ ইউনুসের মতো একই অবস্থা কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর। তিনি থেকেও জেনো নেই। স্ক্রিনে দেখান এই গ্রুপ ছবিটা একটু ভালো করে দেখুন। গ্রুপ ছবিতে নেই জাস্টিন ট্রুডো। তবে ছবিতে তার না থাকার কারণ হিসেবে জানা গেছে, দেরি করে ব্রাজিলে পৌঁছেছিলেন ট্রুডো। আর তাই তিনি গ্রুপ ছবি থেকে মিসিং। তাই এই সব বিষয়ে নজর দিলে একটা কথা বলা যেতেই পারে, যে G-টোয়েনটি সম্মেলনের আপাত যা চিত্র তা ভারতের পক্ষে এক বড়ো কূটনৈতিক জয়।
এই বিষয়ে আপনাদের কি মতামত কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না, প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে লাইক করবেন, শেয়ার করবেন আর Subscribe করে সঙ্গে থাকবেন আমাদের চ্যানেল Business Prime News. জীবন হোক অর্থবহ।