Daily
অব্যাহত রক্তক্ষরণ। অশান্তির আবহাওয়ার মধ্যেই শেষ হল চতুর্থ দফার ৪৪টি কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচন। তবে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠল সকালে কোচবিহারের শীতলকুচিতে পাঁচজনের মৃত্যু ঘিরে। হিংসাত্মক ঘটনার জন্য কে দায়ি এই নিয়ে দিনভর কেটে গেল আজকের নির্বাচন। শাসক-বিরোধীর তরজা উঠল তুমুলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোপালনগরের সভামঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পদত্যাগ করার দাবি জানালেন।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের সভামঞ্চ থেকে আত্মবিশ্বাসের সুরে জানালেন, দিদির সঙ্গে তোলাবাজি, সিন্ডিকেট, দুর্নীতি সব একসঙ্গে বিদায় নেবে।
শীতলকুচির ঘটনা ছাড়া হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া তেমন কোন নির্বাচনী ঝামেলার কথা জানা যায়নি। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সর্বমোট ভোট পড়েছে- ৭৬%।
শীতলকুচির ঘটনার তদন্ত করতে নির্বাচন কমিশন উঠে পড়ে লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রী আঙুল তুলেছেন পদ্মশিবিরের দিকে। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। সবমিলিয়ে কোচবিহারের ঘটনা ছাড়া বাকি এলাকার ভোট মোটের ওপর শান্তিপূর্ণই হয়েছে। তবু বলাই যায়, চতুর্থ দফাতেও বহাল থাকল বাংলার নির্বাচনে রক্তক্ষরণের ঐতিহ্য।
ব্যুরো রিপোর্ট