Daily
বাংলার অর্থনীতির মূল ভিত্তিই কৃষি। তাই কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব আনাই এখন সরকারের মূল লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যেই মুখিয়ে রয়েছে সরকার। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই প্রায় এক ছবি গোটা বাংলা জুড়ে। এবারে আরও একবার তার প্রমাণ পাওয়া গেল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকে।
স্বল্প সেচে বেশি ফসল ফলানোর উদ্দেশ্যকে ফলপ্রসূ করতে এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিভাগের তরফে নেওয়া হল এক বিশেষ উদ্যোগ। PMKSY যোজনার আওতায় উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের শ্রীপুর এলাকায়, ব্লক কৃষি দপ্তরের তরফে এদিন মোট ১৩ জন কৃষকের হাতে তুলে দেওয়া হল সেচের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও পাইপ।
চাষি ভাইরা নিজেদের জমির কাগজপত্র, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ইত্যাদি সরকারি নথি জমা করে এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। শুধুমাত্র জিএসটির টাকা দিতে হবে চাষি ভাইদের। যন্ত্রপাতির বাকি খরচ বহন করবে সরকার। এমনটাই জানালেন ব্লক সহ কৃষি আধিকারিক, ড. ডেনিশ রাই।
চাষের জমিতে জল অপচয় বন্ধ করতে সরকারের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। স্বল্প জলে যাতে উন্নত মানের ফসল উৎপাদন করা যায় সেই উদ্দ্যেশ্যে এই ফোয়ারা সেচ বিশেষ ভূমিকা নেবে। যত দিন এগোচ্ছে, ফুরিয়ে আসছে ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডার। তাই ফ্লড ইরিগেশনের বদলে ফোয়ারা সেচেই আস্থা রাখছে কৃষি দপ্তর।
কৃষি দপ্তরের তরফে পাইপ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেয়ে বেজায় খুশি এলাকার কৃষকরা। কি বললেন স্থানীয় কৃষক সুধির সরকার, শুনুন।
সরকারের তরফে নেওয়া এদিনের এই সেচের যন্ত্রপাতি বিতরণের কর্মসূচির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই বেশ খুশি এলাকার উপভোক্তারা। এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, ব্লক সহ কৃষি আধিকারিক ড. ডেনিশ রাই, কেপিএস মিসবাউল আলম, হিরন্ময় দত্ত, এইও রসিক মুর্মু, আতমা প্রকল্পের কর্মী হিমাংশু মাহাতো সহ প্রমুখরা।
অনুপ জয়সওয়াল
উত্তর দিনাজপুর