Daily
দুয়ারে রেশন প্রকল্প এনে জনসাধারণের কাছে অগাধ জনপ্রিয়তা কুড়িয়ে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আরও কাছাকাছি। একদিকে যখন ভ্যাকসিন দেবার লম্বা লাইন দেখে রাজ্যের প্রবীণ নাগরিকদের কপালে ভাঁজ পড়েছে, দেখা দিয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ঠিক তখনই এসে হাজির হল দুয়ারে ভ্যাকসিন। যেখানে ৬০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের করোনার থাবা এড়াতে ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হবে না। বরং প্রবীণ মানুষগুলোর বাড়িতে এসেই দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। আর সেই ছবিই ধরা পড়ল মধ্যমগ্রামে। প্রবীণ নাগরিকদের ভ্যাক্সিনেশনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিলেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ। মধ্যমগ্রামের ২৮ টি ওয়ার্ডের যারা প্রবীণ নাগরিক রয়েছেন তাদের ওয়ার্ড ভিত্তিক ১১ জন করে প্রত্যেককে ভ্যাক্সিনেশন করা হবে বলে জানালেন তিনি।
কেউ অসুস্থ আর কারুর সেন্টারে গিয়ে ভ্যাকসিন দেবার মত শারীরিক ক্ষমতাটুকুও নেই। কিন্তু করোনা যে বয়স মানে না। তাই করোনার থাবা থেকে বৃদ্ধ মানুষদের বাঁচাতে এগিয়ে এলেন রথীন ঘোষ। সমীক্ষা করার পর যাদের বয়স ৮০ পেরিয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি পালন করা হল শনিবার। উদ্যোগ নিল মধ্যমগ্রাম পুরসভা এবং স্বাস্থ্য দফতর। স্বয়ং খাদ্যমন্ত্রী এই ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির নেতৃত্ব দিলেন। তিনিও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে মধ্যমগ্রাম পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন এবং ভ্যাক্সিনেশনের পর তাঁদের হাতে তুলে দিলেন সার্টিফিকেট। ২১ নম্বর ওয়ার্ড মধ্যমগ্রাম সুভাষপল্লীতে এই গোটা প্রক্রিয়া পরিদর্শন করতে আসেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক।
প্রবীণ নাগরিকদের কথা মাথায় রেখে মধ্যমগ্রামে দুয়ারে ভ্যাকসিন প্রকল্পের জন্য খুশি এলাকাবাসী। তাঁরাও রথীনবাবুর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাড়ির বয়স্ক মানুষদের টিকাকরণ হয়ে যাওয়ায় নিশ্চিন্তে পরিবারের মানুষ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন অঞ্চলে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে বা বিশেষভাবে সক্ষম ১০ জনের বেশী মানুষ থাকলে ওই অঞ্চলের নিকটবর্তী কমিউনিটি হল বা সরকারি জায়গায় ক্যাম্প করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালিত ভ্যাকসিন সেন্টারেও প্রবীণদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু প্রতিটি ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে লক্ষ্য করা যায় লম্বা লাইন। কখনও বা তাঁদের ঘুরতেও হয় এখান থেকে ওখানে। যে কারণে রীতিমত নাজেহাল হতে হয় প্রবীণদের। এবার দুয়ারে ভ্যাকসিন সেদিক থেকে সমস্যার সমাধান অনেকটাই করে দিল, অন্তত প্রবীণ নাগরিকদের জন্য তো বটেই।
বিক্রম লাহা এবং অঙ্কিত মুখার্জী, মধ্যমগ্রাম