Daily
বিশ্বের ৪০ কোটি মানুষের মুখে খাবারের জোগান দিয়ে থাকে ইউক্রেন। বিশ্বে অন্যতম বড় শস্য উৎপাদক দেশ হিসেবে এগিয়ে রয়েছে রাশিয়া। একই সঙ্গে সার উৎপাদনেও রাশিয়ার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এমনই একটি সময়ে দাঁড়িয়ে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ লাগল, তখন বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট যে দেখা দিতে পারে, সেই নিয়ে সাবধান করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি বলে জানাল তারা।
রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে গোটা বিশ্বে দুর্ভিক্ষের অবস্থা তৈরি হয়েছিল প্রায় ৮ কোটি মানুষের। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে সেটা আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এখনই যদি এই বিষয়ে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না-নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে খাদ্য সংকটের মুখে পড়তে পারেন প্রায় ৩৪ কোটি মানুষ। রাষ্ট্রপুঞ্জ মনে করছে, পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে খাবারের অভাব এবং জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির ছেঁকা আরও বেশি করে সইতে হতে পারে বিশ্ববাসীকে।
পশ্চিমি দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব বাজারে পণ্য রফতানিতে বারবার ধাক্কা খেয়েছে রাশিয়া। এদিকে চিন সার উৎপাদনেও ভালোরকম লাগাম টেনেছে। ভারতেও বৃষ্টির অভাব দেখা দেওয়ার কারণে শস্য উৎপাদন কিছুটা ব্যহত হয়েছে। আর যে কারণে ভারতও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শস্য রফতানিতে পড়িয়েছে লাগাম। ফলে গোটা বিশ্বেই এখন খাবারের দাম বাড়ছে ভালোরকম। যা খাদ্য সংকটের মতন অবস্থাকে আরও ত্বরান্বিত করছে। আর তাই খাদ্য সংকটের হাত থেকে দারিদ্র্যের নিচে থাকা মানুষদের বাঁচাতে এবার জোরালো আহ্বান দিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে যেসকল অতিধনীরা রয়েছেন, তাঁদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মকর্তারা। শস্য থেকে শুরু করে সারের দাম এবং অপরিশোধিত তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আরবের ধনকুবেরদের এগিয়ে আসার আর্জি জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, আমেরিকা এবং ইউরোপ খাদ্যের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ইতিমধ্যেই মোটা অঙ্কের অর্থ প্রদান করেছে। এবার আরবের ধনকুবেররা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে সেই অঙ্ক গরিবদের স্বার্থে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ