Trending

ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল, ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুল। ফুল ভালোবাসেন না এমন মানুষ বিরল। কিন্তু আমরা অধিকাংশরাই ফুলের শোভা এবং সৌন্দর্যকেই শুধু উপভোগ করি। জানতে পারি না একটি ফুল গাছে আসার পিছনে ঠিক কতটা পরিশ্রমের প্রয়োজন পড়ে। এখন মাঘ মাসের প্রায় শেষ। ফাল্গুন আসতে এখনও কয়েকটা দিন দেরি। শীতও যাচ্ছি-যাব করছে। তবু শীত মানেই তো চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, গাঁদা, গোলাপের সমারোহ। তাই ফুলপ্রেমী মানুষরা এই সময়টাকে দারুণভাবে ব্যবহার করেন। যেমন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের তুলসীতলার বাসিন্দা পরিমল কর। তাঁর বাড়িতে গেলে মনে হবে আপনি যেন সত্যিই নন্দন কাননে এসে পড়েছেন।
তাঁর বাড়ির ছাদে গেলে মনেই হতে পারে ফুলের সাম্রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন আপনি। ২০ প্রজাতির চন্দ্রমল্লিকার পাশাপাশি রয়েছে ডালিয়া, গাঁদা, গোলাপের সমারোহ। ফুলের পাশাপাশি তিনি চাষ করেছেন বিঘোরের বেগুন থেকে নানান সবজির। প্রতি বছর রায়গঞ্জের যে ফুলমেলা হয় সেখানে তাঁর এই ফুলের সমারোহ রায়গঞ্জবাসীর নজর আটকে রাখে। অন্যান্য ফুলপ্রেমী মানুষের মতনই তিনিও হাজির হন এই মেলায়। চলুন ঘুরে আসা যাক পরিমলবাবুর ছাদবাগানে।
আর এই ফুল নিয়েই তিনি প্রতিবছর হাজির হন রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের মাঠে নন্দন আয়োজিত পুষ্পমেলায়। এই নন্দন হচ্ছে এমনই একটি সংস্থা যারা প্রতিবছর এই মেলার অনুষ্ঠান করে থাকেন। কিন্তু করোনা আবহের কারনে প্রথমে ফুলমেলার অনুমতি মেলেনি। তারপর যখন অনুমতি পাওয়া গেল। তখন এতটাই তাড়াহুড়ো বাড়ল যে মেলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হল না।
রায়গঞ্জে পরিমলবাবুর মত এমন অনেক ফুলপ্রেমী আছেন। যারা এই ফুলমেলায় রায়গঞ্জবাসীর নজর কেড়ে রাখেন। কিন্তু এই বছর মেলা না হওয়ায় তাঁরা সকলেই হতাশ।
তবে যত যাই হোক। ফুলের শোভা একইরকম রয়েছে। মেলা না হওয়ার কারণে পরিমলবাবুর ছাদবাগান কিন্তু একটুও ম্লান হয়নি। শুধু ফুলপ্রেমীদের মন ভার হয়ে গিয়েছে। তবে তাঁরা আশাবাদী। পরিস্থিতির উন্নতি আগামি বছর অবশ্যই হবে। আর তাহলেই আয়োজন করা যাবে ফুলমেলার। তিন-চারদিন ধরে হৈ হৈ করে রায়গঞ্জবাসীর পা পড়বে ফুলমেলায়।
অনুপ জয়সোয়াল
উত্তর দিনাজপুর