Daily
উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লক। এলাকার সিংহভাগ মানুষ যুক্ত ফুল চাষের সঙ্গে। বিঘার পর বিঘা জমিতে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা ইনভেস্ট করে চাষ করছেন গাঁদা ফুল। মুলত শীতকালীন ফুল হওয়ায় গাঁদা চাষে বেশ ভালো লাভই পাচ্ছিলেন এখানকার চাষিভাইরা। অঘটন ঘটল আবহাওয়ার পরিবর্তনে।
গরম পড়তে না পড়তেই শুকিয়ে যাচ্ছে গাঁদা ফুল। ইটাহার ব্লক সংলগ্ন নলডাঙ্গা, পূর্বশখা, রাঙ্গাচিতোর, বুড়িহাট সহ একাধিক গ্রামের ছবিটা প্রায় একই। হিমঘরের অভাবে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে চাষিরা। লাভের তুলনায় ফুলের বাজার বেশ খারাপ। তাই নিজেদের এলাকায় একটা হিমঘরের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় চাষিরা।
প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা খরচ করে গাঁদা ফুল চাষ করে, শুকিয়ে যাওয়ার পর ফেলে দিতে হচ্ছে সেই ফুল। কোথাও হয়তো ভালো দামটুকুও পাচ্ছেন না তারা। যেটা চাষিদের জন্যে তো বটেই, এলাকার ব্যবসায়িক স্বার্থেও ব্যাপারটা বেশ ক্ষতিকারক।। তাই সংশ্লিষ্ট হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্টের সাথে এই বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানালেন কৃষি আধিকারিক ডঃ ডেনিস রায়।
এখন কৃষি আধিকারিকের কথা শুনে এবং চাষিভাইদের কথা ভেবে সরকার এলাকার হিমঘরের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেয়, সেটাই দেখার।
অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর