Daily
মাছ চাষে গোটা বাংলার কাছে আজ রোল মডেল হয়ে উঠেছে হলদিয়া। এলাকার পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও এগিয়ে এসেছেন মাছ চাষে। ব্লক মৎস্য দপ্তরের তৎপরতায়, উৎসাহে এবং সর্বোপরি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়েছেন এলাকার মহিলারা। রাজ্য ও জাতীয় স্তরে বহু পুরস্কারও পেয়েছেন তারা। মাছ চাষে মহিলাদের এই অনবদ্য ভূমিকার কথা তুলে ধরতে একটি ডক্যুমেন্টারি তৈরি করতে সম্প্রতি হলদিয়ায় আসে আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিএসএফ –এর সদস্যরা।
ভারতের মহিলারা কীভাবে মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত, তা নিয়ে বহুদিন ধরেই একটা বড়সড় রিসার্চ করে আসছে আইসিএসএফ। আর সেই উদ্দেশ্যেই তাদের একটি দল হলদিয়ায় আসে। কথা বলে এলাকার মহিলাদের সাথে। হলদিয়ায় মাছের ফার্মগুলিও পরিদর্শন করে তারা। ক্যামেরাবন্দী করেন প্রতিটা মুহূর্ত। কীভাবে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পরিবেশবান্ধব এবং বৈচিত্র্যময় মাছ তারা চাষ করে, সেই বিষয়ে তারা যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে একটি ডক্যুমেন্টারি বানাবেন বলেই জানান হলদিয়া ব্লকের মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু।
হলদিয়ার বৈজ্ঞানিক উপায়ে করা এই মাছ চাষ দেশে আজ এক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। ব্লক মৎস্য দপ্তরের সহযোগিতায় গ্রামের মহিলারা ঘরের কাজ সামলে আজ এগিয়ে এসেছেন মাছ চাষ করতে। আর এই সমস্তটা আইসিএসএফ-এর হাত ধরে ছায়াছবির আকারে প্রকাশ পেলে বিশ্বের দরবারে তা পরিচিতি পাবে। প্রচারের আলোয় আসবে এখানকার মহিলা মাছ চাষিদের জীবন বৃত্তান্ত। এমন পরিকল্পনায় খুশি এলাকার মহিলা মাছ চাষিরা।
এই ধরণের পরিকল্পনা আগামী দিনে আরও অনেক মহিলা মাছ চাষিকে উদ্বুদ্ধ করবে মাছ চাষের প্রতি। আর্থিক ভাবে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারবেন তারা। এছাড়াও সরকারি প্রকল্পের প্রজুক্তিগত সম্প্রসারণে এই ধরণের প্রোজেক্ট বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
প্রসূন ব্যানার্জি
হলদিয়া