Daily
ব্যাপারটা অনেকটা এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত। গ্রামের মহিলাদের কর্মমুখী করে তোলার এবং একইসঙ্গে জীববৈচিত্র্য বজায় রাখার এক দুর্দান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ নং ব্লকের মৎস্য দপ্তর। বাড়ি সংলগ্ন যে এঁদো পুকুর কিংবা ডোবাতে মহিলারা ব্যস্ত থাকেন ঘর সংসারের নিত্যদিনের কাজ নিয়ে, এবার সেই সমস্ত ডোবাকে কাজে লাগিয়েই স্বনির্ভরও হবেন তারা। কিন্তু কীভাবে? চলুন দেখে আসা যাক, গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মহিলাদের নিয়ে ঠিক কীভাবে কাজ করছেন জেলা মৎস্যদপ্তরের আধিকারিকরা।
পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাড়ি সংলগ্ন এঁদো পুকুর কিংবা ডোবা। অথচ সেই পরিত্যক্ত ডোবাই যে আপনাকে আয়ের পথ দেখাতে পারে, ভেবে দেখেছেন কখনও? বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সেই সমস্ত অব্যবহৃত পুকুর কিংবা ডোবাতে মাছ চাষের পরামর্শ দিচ্ছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। কি কি মাছ? এই ধরুন মৌরলা, পুঁটি, এই ধরণের ছোট দেশীয় মাছ। যারা পরিত্যক্ত পুকুরেও দিব্যি মানিয়ে নিতে পারে। কি? অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে? আরেঃ অস্বাভাবিক মনে হলেও অসম্ভব তো নয়। মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকদের কথা শুনে একবার এগিয়েই দেখুন না। এগরা ব্লকের মহিলাদের নিয়ে সম্প্রতি যে সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেখানে এই ছোট মাছ চাষ এবং তার গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য চাষ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু। কি বলছেন তিনি? শুনে নেব।
এদিনের এই সচেতনতামূলক শিবিরের অনুষ্ঠানে মৎস্যদপ্তরের পাশাপাশি মহিলাদের উৎসাহিত করতে এবং তাদের এই ছোট মাছ চাষের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে জানাতে মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক গ্রামীণ আত্মকর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও। এবিষয়ে পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক গ্রামীণ আত্মকর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ডাইরেক্টর উজ্জ্বল কুমার বর কি বলছেন, শুনে নেব।
এই ধরণের সচেতনতামূলক শিবির যে গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে এবং এর পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতির ভিতটাও মজবুত করবে, তা বলাই যায়।
প্রসূন ব্যানার্জি
পূর্ব মেদিনীপুর