Daily
শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বগতি থামবার এখনই কোন লক্ষণ নেই। হাজারের ঘর থেকে সেনসেক্স এখন ৬০ হাজারের ঘরের দিকে চলেছে। তবুও ভারতের বাজারে বিশেষ করে মূলধনী বাজারে উৎপাদনী পুঁজির অভাব পড়ছে। এখনো শিল্পে পুঁজির চাহিদা রয়ে গিয়েছে। শিল্পে সিংহভাগ পুঁজির মূল জোগানদাতা ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি। অথচ শিল্পক্ষেত্রে ঋণের চাহিদা এখনো রয়ে গিয়েছে ৬ শতাংশের আশেপাশে।
কোভিড পরবর্তী ভারতীয় অর্থনীতিতে শিল্পক্ষেত্রে পুনরুজ্জীবনে নরেন্দ্র মোদির প্রধান হাতিয়ার ছিল সরকারি ব্যাঙ্কে গ্যারান্টিযুক্ত ঋণ দান। সরকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেও সেই ঋণদানের হার রয়ে গিয়েছে ৬ শতাংশের আশেপাশে।
কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলিকে বিশেষ করে স্টার্টআপ শিল্পকেও বাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহের উপর জোর দিয়েছেন।
সম্প্রতি ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শেয়ার বাজার থেকে শুধুমাত্র বড় কোম্পানিগুলো এতদিন শেয়ার ছেড়ে পুঁজি সংগ্রহ করত। এখন থেকে সরকার এমন মেকানিজম বানাচ্ছেন, তাতে করে স্টার্টআপ ইন্ডাস্ট্রিও বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে।
ভারত সরকারের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল চিনের উদাহরণ দিয়ে বলেন, চিনের শিল্পক্ষেত্রগুলিতে চিনা ব্যাংকের লাগাতার পুঁজির জোগান অব্যাহত রয়েছে। শিল্পক্ষেত্রও পাচ্ছে বিকাশের সুনির্দিষ্ট দিশা।
কেন্দ্রীয় সরকার যখন কোভিড পরবর্তী ভারতীয় অর্থনীতিকে একটু একটু করে ঢেলে সাজাতে চাইছেন তখন কেন্দ্রীয় উদ্যোগে বাধ সাধছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। অধিকাংশ ব্যাঙ্কগুলি শিল্প কেন্দ্রে ঋণ দানের ব্যাপারে অনীহা রয়েছে বলে অভিযোগ। তাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক শিল্প ঋণে সুদের হার কমলেও ঋণদানের হার এখনো ৬ শতাংশের আশেপাশেই রয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ব্যাঙ্কগুলি সঙ্গে কথা বলে আবারো আয়োজন করতে চলেছেন ঋণদান মেলা। এখন ঋণদান মেলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি কিভাবে শিল্পকেন্দ্র গুলির পাশে দাঁড়াবে সেটাই এখন দেখার।
ব্যুরো রিপোর্ট, বিজনেস প্রাইম নিউজ।