Daily

সার ও কীটনাশকের ব্যবসায় নতুন নিয়ম আসতেই নড়েচড়ে বসল কৃষি দফতর। রাজ্য জুড়ে চলছে বিভিন্ন সার ও কীটনাশকের উপর নজরদারি কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে। এখন থেকে ওষুধের দোকানদারদের মতনই কৃষি দফতরের প্রত্যক্ষ নজরদারিতে চলবে রাজ্যে সার ও কীটনাশকের ব্যবসা।
বহু বছর ধরেই রাজ্যের কৃষকদের একাংশের অভিযোগ ছিল সার ও কীটনাশকের ডিলারদের বিরুদ্ধে চড়া দামে এতদিন সার কোম্পানিগুলো সার ও কীটনাশকের সঙ্গে ট্যাগিং মেটেরিয়াল প্রমোট করার চেষ্টা করলেও এখন থেকে নতুন নিয়মে ডিলাররা আর কৃষকদের ট্যাগিং মেটেরিয়াল বেচতে পারবেন না। সেই ছবি ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। যা কার্যত খুশির হাওয়া আনবে কৃষকদের মধ্যে।
কিন্তু হঠাৎ এই পরিবর্তন কেন? সেই প্রশ্নে কৃষি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যে সার ও কীটনাশকের দোকানগুলি এতদিন ছিল কার্যত নজরদারির আওতার বাইরে। তাই অনেক সময়ই সার ও কীটনাশকের দোকানদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠত বেশি দাম নেওয়া, মেয়াদ উত্তীর্ণ সার কৃষকদের বিক্রি করা। তাই কোলাঘাটের পর পাঁশকুড়াতেও চলল কৃষি দফতরের নজরদারি ডেপুটি ডাইরেক্টরের নেতৃত্বে।
পাঁশকুড়ায় গিয়ে কৃষি দফতরের চক্ষু চড়কগাছ। একটি গেস্ট হাউজের ভিতর থরে থরে সাজানো রয়েছে নানান ব্র্যান্ডের সার ও কীটনাশক। খতিয়ে দেখলেন দফতরের আধিকারিকরা। আর অভিযানের শেষে কি বললেন শুনুন।
কেন্দ্রীয় সার ও রসায়নমন্ত্রক ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সার ও কীটনাশকের দোকানগুলিকে নজরদারির আওতায় আনার ফলে একদিকে যেমন কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। অন্যদিকে তেমনি অপ্রয়োজনীয়ভাবে জমিতে রাসায়নিক প্রয়োগের মাত্রাও কম করা যাবে। এখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষি দফতর কত তাড়াতাড়ি দোকানদারদের প্রশিক্ষিত করে নজরদারির আওতায় আনতে পারবেন, সেটাই এখন দেখার।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর