Daily
যার নেই কোন গুন, তার নাম নাকি বেগুন। প্রচলিত এই প্রবাদ শুনতে আমরা প্রায় অনেকেই অভ্যস্ত। আচ্ছা। একটা কথা সত্যি করে বলুন তো? বেগুনের কি সত্যিই কোন গুন নেই? বাজার থেকে টাটকা দেখে বেগুন কিনে আনছেন। সেটা রান্নার জন্য কাটছেনও। আর কাটতে না কাটতেই বেগুন থেকে কিলবিল করে বেরিয়ে আসছে একরাশ পোকা। এতে বেগুনের দোষটা কোথায়?
তবে, এবার হয়তো পোকার আক্রমনের হাত থেকে বেগুনকে রক্ষা করতে পারবেন কৃষকরা। না না। প্রচলিত কীটনাশক স্প্রে নয়। বরং, ফেরোমন ফাঁদ পেতে জৈব পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের ইটেডাঙ্গা এলাকায় এই পদ্ধতিতে চাষ করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। বিষমুক্ত তথা পরিবেশবান্ধব উপায়ে করা এই চাষ যে কার্যকরী হবে, সে বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। শুধু কি তাই? নিজের এক বিঘা জমিতে ফেরোমন পদ্ধতিতে চাষ করে হাতেনাতে যে ফল পেয়েছেন কৃষকরা, সে কথাই বললেন স্থানীয় কৃষক বিনয় পাল।
খরচ কম, উৎপাদনও বেশ ভালো। আর কম খরচে স্বাস্থ্যকর বেগুন চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা। তাই এলাকার বহু কৃষকই আগ্রহ দেখাচ্ছেন এই পদ্ধতিতে চাষ করতে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কি এই ফেরোমন ট্র্যাপ? কিভাবেই বা এই পদ্ধতিতে চাষ করা যায়? এই পদ্ধতিতে চাষ ঠিক কতটা উপকারী? সেসব নিয়েই ব্যখ্যা দিলেন বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ ডঃ সুব্রত সরকার?
এই জৈব পদ্ধতিতে চাষ করে যে আগামীদিনে কৃষকরা উপকৃত হবেন, সে বিষয়ে আশাবাদী কৃষি বিশেষজ্ঞরা। চাষিদের আয়ও বাড়বে। আর কীটনাশকের ব্যবহার কমানর ফলে চাষের অনুকূল পরিবেশ রক্ষা পাবে। আর আগামীদিনে হয়তো বাজারে পোকামুক্ত বেগুন কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষেরা।
কাঞ্চন দাস
পশ্চিম বর্ধমান