Trending

আমাদের দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড শক্ত রাখার অনেকটাই দায়িত্ব বর্তায় কৃষিকাজের ওপর। আর ভারতে কৃষিকাজ হয়ে থাকে সনাতনী রীতি মেনেই। যে কারণে কৃষকদের জলের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে থাকতে হয়। কৃষিকাজের এই পুরনো পদ্ধতির সঙ্গেই আমাদের দেশের কৃষকরা অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ। তবু জলের জোগান সর্বত্র না থাকায় সেচের কাজ একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া বৃষ্টির পরিমাণও যে সবসময় সমান হয়, এমনও নয়। ফলে কৃষকদের ভাগ্যে অনিশ্চয়তা একটা বড় সঙ্গী। সেদিক থেকে দেখতে গেলে অনেকটাই এগিয়ে পশ্চিমী দেশ। বিজ্ঞানের হাত ধরে চাষাবাদেও তারা এগিয়ে রয়েছে অনেকটাই।
কিন্তু পিছিয়ে নেই আমরাও। বিজ্ঞানের প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এখানেও পাল্টাচ্ছে মানুষের ভাবনা চিন্তা। নতুন নতুন ধারণাকে কাজে লাগিয়ে এখন চাষাবাদও করা সম্ভব হবে। আর সেই বার্তাই পৌঁছে দিলেন দুই পড়ুয়া গবেষক। যেখানে সফলভাবে কৃষিকাজ হবে মাটি ছাড়া, জল ছাড়া। এখন ভাবছেন নিশ্চয়ই যে মাটি এবং জল বাদ দিয়ে কীকরে কৃষিকাজ সম্ভব? সেখানেই রয়েছে আসল সাফল্য। নয়াদিল্লির TERI School of Advanced Studies এর দুই পড়ুয়া সৌরদীপ বসাক এবং লভকেশ বালচন্দানী আবিষ্কার করেছেন সৌরশক্তি চালিত হাইড্রোফোনিক ফুডার ইউনিট। যার মাধ্যমে মাটি ছাড়াই মাথা তুলে দাঁড়াবে সবুজ ঘাস। তাঁদের এই সাফল্যের জন্য গ্র্যান্ড ফাইনাল অফ দ্য এফিসিয়েন্সি ফর অ্যাকসেস ডিজাইন চ্যালেঞ্জে তাঁরা জিতেও নিয়েছেন ব্রোঞ্জ পদক।
এই পদ্ধতিতে চাষ করলে জলের প্রয়োজন পড়ে ৯৫% এর কম। প্রয়োজন পড়ে না মাটির। আর বীজ থেকে গাছের মাথা তুলে দাঁড়াতে সময় লাগে মাত্র ৮ দিন মত। বিদ্যুৎ খরচও অস্বাভাবিক কম। মাত্র ০.৫ ইউনিট খরচ হয়। এই দুই গবেষক জানিয়েছেন, ৫০ কেজি ফসল উৎপাদনের জন্য তাঁদের তৈরি একটি ইউনিট বসাতে খরচ পড়ে মাত্র সাড়ে ৭ হাজার টাকা।
ব্যুরো রিপোর্ট