Daily
গতানুগতিক ধান চাষে লাভের পরিমাণ যৎসামান্য। তাই বিকল্প কোন উপায়ে চাষের জমি ব্যবহার করার বিষয়ে বহুদিন ধরেই ভাবানাচিন্তা করছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন ২ নং ব্লকের কৃষকেরা। এবিষয়ে কৃষি দপ্তরের কাছে সহায়তার জন্যেও যান তারা। চাষিদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে বিস্তীর্ণ ধান জমিতেই বাদামের চারা লাগানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। কৃষি দপ্তরের পরামর্শ মেনেই বাদামের চারা রোপণ করেন তারা। এবং পরবর্তীতে বিপুল লাভের মুখও দেখেন দাঁতনের চাষি ভাইরা।
বিঘের পর বিঘা ধানি জমিতে এখন বাদামের রাজত্ব। হবে নাই বা কেন বলুন? বোরো ধান চাষে প্রচুর পরিমাণে জল লাগে। আর খাটনিও অনেক বেশি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে বাদাম চাষ কম খাটনিতে ডবল মুনাফা দেয়। এবছর নিজের জমিতে বাদাম চাষ করে প্রায় ২৫ কুইন্টাল মত ফসল তুলতে পারবেন বলে আশাবাদী কৃষক সুধীর পণ্ডিত।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এই দাঁতন ২ নং ব্লক ইতিমধ্যেই সেমি ক্রিটিকাল জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যেখানে জলস্তর নিম্নমুখী। তাই জলের সাশ্রয় করে কৃষিকাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন কৃষি দপ্তরের প্রধান লক্ষ্য। আর সেক্ষেত্রে বাদাম চাষই তাদের কাছে ব্রহ্মাস্ত্র। সহযোগিতা পেয়েছেন কৃষকদের কাছ থেকেও। আগামী দিনে আরও বহু কৃষক এই বাদাম চাষমুখী হবেন বলে আশা রাখছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।
কৃষি দপ্তরের লাগাতার সহযোগিতা এবং চাষিভাইদের যত্নে এখন বেশ তরতাজা হয়ে উঠেছে এই বাদাম গাছগুলো। ফলনও হচ্ছে বেশ ভালোরকম। আগামীদিনে আরও কৃষক এই বাদাম চাষে আগ্রহ দেখালে জেলার কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির পালে যে জোয়ার আসবে, তা বলাই যায়।