অসময়ের সব্জি এখন ফলানো সম্ভব। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের সহায়তায় সেই অসম্ভবকে সম্ভব করছেন কৃষি আধিকারিকরা। ফলে অল্প জমিতে অসময়ের সব্জি চাষ করে বেশি লাভবান হতে পারবেন কৃষকরা। তারই একটুকরো ছবি ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের তরঙ্গপুর এলাকায়।

প্রথাগতভাবে শীতের আনাজ ফুলকপি বা বাধাকপি শীতকালে চাষ করার পর বিক্রি করতে গেলে তেমন একটা লাভের মুখ দেখতে পাননা কৃষকরা। কিন্তু জেলা কৃষি উদ্যান পালন দফতরের সহায়তায় শীতের ফসল অসময়ে চাষ করতে উৎসাহ দিচ্ছেন তাঁরা। এই যেমন অশ্বিনী দেবশর্মা। এক বিঘে জমির মধ্যে দশ কাঠায় তিনি একসঙ্গে চাষ করছেন ফুলকপি এবং বাধাকপি। আর অসময়ে এই চাষ করে যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন তিনি।

উচ্চমূল্যের অসময়ের সব্জি ফলন করতে কেন কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে? আর কি কিভাবেই বা করা সম্ভব সেই বিষয়ে কথা বললেন কৃষি আধিকারিক সুফল চন্দ্র মণ্ডল।

কিভাবে অসময়ের সব্জি চাষ করছেন অশ্বিনীবাবু? সেই বিষয়ে জানালেন সরাসরি বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরায়।

আগে কোল্ড স্টোরেজ থেকে বা রাঁচি থেকে অথবা বিভিন্ন জায়গা নিয়ে আসা হত কপি। কিন্তু এখন মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরেও ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম বা ব্রকোলির মত বিভিন্ন সব্জির চাষ করা হচ্ছে। অসময়ের সব্জি ফলিয়ে যেটুকু লাভের অঙ্ক দেখেছেন অশ্বিনীবাবু তাতে তিনি যথেষ্ট খুশি। অন্যান্য কৃষকদেরও তিনি উৎসাহিত করছেন অসময়ে ফুলকপি বা বাঁধাকপি চাষে। এর ফলে তাঁর মত অন্যান্য কৃষকরাও যথেষ্ট লাভবান হতে পারবেন।

অনুপ জয়সোয়াল
উত্তর দিনাজপুর