Daily
গত বছর আম্ফান। এই বছর ইয়াস। নরক যন্ত্রণা থেকে বের হতে পারেন নি সুন্দরবনের মানুষরা।
কখনও হিঙ্গলগঞ্জ, কখনও সন্দেশখালি আর কখনও বা মিনাখাঁ। যেদিকেই চোখ যাবে সেদিকেই শুধু জল। আর কান পাতলে শোনা যাবে প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষিনির্ভর মানুষগুলোর হাহাকার।
কোথাও একেবারে ভেঙে গিয়েছে নদীবাঁধ, কোথাও বাঁধ উপচে নদীর জল ঢুকছে জমিতে কোথাও বা ফাটল ধরেছে বাঁধে। জলে ভেসে গেছে ধান, আলু, ঢেঁড়সের মত ফসলের একের পর এক জমি। মাছের ভেড়ি থেকে সব মাছ বেরিয়ে গেছে। চারিদিকে শুধু ক্ষতিচিহ্ন।
ঝড় আসে, ঝড় যায়। কিন্তু দুর্ভোগ থেকে রেহাই নি এলাকাবাসীদের। পঞ্চায়েত অবশ্য বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এখন সুন্দরবনের মানুষ চেয়ে আছেন সরকারি সাহায্যের দিকে। তাঁরা চাইছেন আর প্রতিশ্রুতি নয়। এবার বাঁধ নির্মাণ করে দিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবেই হয়ত কিছুটা হলেও রেহাই পাবেন সুন্দরবনের মানুষ।
অঙ্কিত মুখার্জী, উত্তর ২৪ পরগনা