Story
বিপিএনডেস্কঃ আধুনিক কৃষি বিজ্ঞানে পলিমালচিং এখন এমন একটা কৌশল যা সহজেই কৃষকের উৎপাদনী খরচ কম করে লাভের পরিমাণকে করে দ্বিগুণ। চাষের আয় নিয়ে এখন কৃষকদের মনে হাজারো প্রশ্ন। সেখানে দপ্তরের মুখে একটাই উত্তর। পলিমালচিং। সুবিধাও আছে বিস্তর।
পলিমালচিংয়ের সুবিধাঃ
১। মাটির তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে
২। মাটিতে জলের আর্দ্রতাকে সঠিকভাবে বজায় রাখে
৩। চাষের জমিতে পোকামাকড়ের সঙ্গে আগাছা নিয়ন্ত্রণ করে
৪। সারের ব্যবহার অনেক কম হয়
৫। জমির উর্বরতা বজায় রাখে
৬। এই পদ্ধতি চারার গোরাকে অধিক সুরক্ষা প্রদান করে
৭। ফসলের মান অনেক ভালো হয়
৮। এই পদ্ধতিতে ক্ষেতে শ্রমিকের সংখ্যাও অনেক কম লাগে
প্রচলিত পদ্ধতিতে অভ্যস্ত কৃষকের বিঘার পর বিঘা জমিতে ফসল ফললেও সেখানে রয়েছে ক্ষতির সম্ভাবনার পাশাপাশি লাভের অঙ্ক কম হওয়ার আশঙ্কাও।
প্রচলিত পদ্ধতির অসুবিধাঃ
১। এখানে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থাই নেই
২। মাঠ জুড়ে জল সেচের ব্যবস্থা করা হলেও বেশিরভাগটাই উবে যায়
৩। ফসলের চারার সঙ্গে বড় হতে থাকে আগাছাও। থাকে পোকামাকড়
৪। অধিক মাত্রায় সারের ব্যবহার জমির ও স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর
৫। জমিতে নিড়ানির কাজে অনেক শ্রমিক লাগে
৬। ফসলের মান অনেক সময়েই গুণগত মান পেরোয় না
৭। ফসল বাড়তে অনেক বেশি সময় লাগে
৮। বাড়তি দাম তো পরের কথা। বিনিয়োগের টাকাটাও তোলা দায় হয়
সবমিলিয়ে চাষির ঘরে আঁধার যেন আর কিছুতেই মেটে না। এই অন্ধকার ঘরে আলো জ্বালার কাজটাই করছে বনগাঁর কৃষি দপ্তর। সব্জি চাষে বিপ্লব আনার তোড়জোড় চলছে এখানে। রঞ্জিত দাস, চাঁদা গ্রামে এবার প্রথম এই পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের জমিতে পটল চাষ করেছেন। ফলও পেয়েছেন হাতে হাতে। আবার টম্যাটো চাষেও এই পদ্ধতির জুড়ি মেলা ভার। মাঠ ভরা টম্যাটো তো সে কথাই জানান দিচ্ছে।
ব্রকোলি থেকে সর্ষে। আর সর্ষে থেকে পেঁপে সব ক্ষেত্রেই এখন জয়জয়কার পড়েছে এই গ্রামে। রঞ্জিত দাসের মাঠে নতুন পদ্ধতি দেখতে ভিড় করছেন অনেকেই। এমনই উৎসাহী চাষি রঞ্জিত বিশ্বাসের গলায় ধরা পড়ল আত্মবিশ্বাসের সুর। সারাদিন নিজের মাঠে কাজের ফাঁকে চাঁদা গ্রামের কৃষকরা সবাই মিলিত হয় নিজেদের এই সংগঠনের ঘরে। চলে আলাপ আলোচনা। তৈরি হয় পরের দিনের পরিকল্পনা। কত তাড়াতাড়ি মাঠের লাভ ঘরে তুলে লাভবান হওয়া যায় সেই কথাই শোনা যায় গ্রামের পথে ঘাটে। চাঁদা গ্রামে এখন শুধুই চাঁদের আলো।।
উত্তর ২৪ পরগণা থেকে দেবস্মিতা মণ্ডলের রিপোর্ট, বিজনেস প্রাইম নিউজ