Story
বি পি এন ডেস্কঃ মানব জমিন, চাঁদা গ্রাম রামপ্রসাদী দর্শন- একে তিন আর তিনে এক এখানে মিলেমিশে হল একাকার। ফল সোনার খেতে দিনে দিনে একটু একটু করে বেড়ে উঠেছে সোনালি ভবিষ্যতের লক্ষ্মী। গ্রাম ছাড়া ঐ গ্রামের মাটিতেই সযত্নে বড় হচ্ছে বিপ্লবের অপর নাম পলিমালচিং। রামপ্রসাদের আশার সুরে চাঁদার বিঘার পর বিঘা জমিতে আজ ফলেছে শুধুই সোনা। সৌজন্যে অবশ্যই পলিমালচিং পদ্ধতি। খুব তাড়াতাড়ি এই চাঁদা গ্রাম ‘মডেল কৃষি ভিলেজ’ এর মুকুট পেতে চলেছে সহ কৃষি অধিকর্তার দপ্তর থেকে। স্পট লাইটে এবার বনগাঁ মহকুমার চাঁদা গ্রাম। দেশের কৃষি অর্থনীতিতে বলা ভাল জিডিপিতে কৃষির ভাগিদারী ক্রমশ কমছে মানে কৃষিতে উৎপাদনের বহর কমছে। কেন? অর্থনীতিবিদদের গবেষণার সারাংশঃ জিডিপিতে কৃষির ভাগ কম কেন? ১। কৃষির উৎপাদন কম ২। কৃষিতে খরচ খাজনার চাইতে বাজনা বেশি ৩। কৃষিতে উৎপাদিত পণ্যের বাজারে নেই কোন স্থিরতা ৪। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ কৃষকের অনীহা ৫। প্রযুক্তি প্রয়োগের তৃণমূল স্তরে সরকারি প্রচারের উদাসীনতা ৬। নিট ফল কৃষক ধরছে অন্য রাস্তায়। যোগদান কমছে জিডিপিতে এ তো গেল নেই রাজ্যের কথা। তবুও তো কিছু আছে যা বলতে বাধা নেই। বাধা নেই এখানকার ঘর ঘর কি কাহিনী পলিমালচিংয়ের কথা। হরেক রকমের সব্জি যেমন ব্রকোলি, টমেটো, সর্ষে, কপি সহ নানান ধরণের সব্জি চাষে মাঠে পড়ে থেকে একেবারে হাতে কলমে চাষিদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন স্থানীয় কৃষি দপ্তরের টেকনিক্যাল ম্যানেজারেরা। অয়নদীপ বিশ্বাস কৃষি দপ্তরের টেকনিকাল ম্যানেজার বিষয়টি আরও সহজ করে পরিসংখ্যান দিয়ে বললেন, পলিমালচিং ব্যপারটা কি? এক কথায় চাষের মাঠে পাতলা প্লাস্টিক ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতির মাধ্যমে ওজোন এফেক্ট কম করে উৎপাদনের পরিমাণকে বাড়িয়ে দেওয়া। ১৯৫০ এর দশকে মার্কিন মুলুকে কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডঃ এমরি এম ইমার্ট সর্বপ্রথম সব্জি চাষে হাই ডেনসিটি ও লো ডেনসিটি পলিথিন ব্যবহার করে শুরু করেন পলিমালচিং চাষাবাদ। এর ফলাফল তো আজ বিশ্বে ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। আবারও ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁর সহ কৃষি অধিকর্তার অফিস। এই পদ্ধতিকে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন মহকুমার ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে। ৫০ হাজার ১৬২ টি পরিবারের মধ্যে। যেখানে জমির কাজে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছেন প্রায় ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ। ৩৭ টি কৃষক দলের মধ্যে ১২ টি দলের মোট ১২০ জনকে বাছা হয়েছে এই কাজে।